• বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বাণিজ্যিকভাবে ‘মহাশোল’ চাষাবাদ নিয়ে গবেষণা

  অধিকার ডেস্ক    ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ১৫:৩৬

মহাশোল
বিলুপ্ত প্রজাতির ‘মহাশোল’ (ছবি ইন্টারনেট)

বাংলাদেশে বিলুপ্ত প্রজাতির ‘মহাশোল’ বা ‘স্পোর্ট ফিশ’ নিয়ে গবেষণা শুরু করেছে ময়মনসিংহ মৎস্য ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই)। তারা এ মাছের পোনা উৎপাদনসহ চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। পাশাপাশি মাছের দ্রুত বর্ধনশীলতা এবং ডিম ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি নিয়ে ও তারা কাজ করে যাচ্ছে।

বিএফআরআই সূত্র থেকে জানা যায়, অনেকটা মৃগেল মাছের মতো দেখতে এই মাছ বেশ স্বাদের এবং অন্য কার্প মাছ থেকে এই মাছ বেশি দামে ও বিক্রি হয়ে থাকে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাদদেশ,নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী সোমেশ্বরী এবং কংস নদীতে এই মাছের জন্ম।

বাংলাদেশের পাহাড়ি অঞ্চল ময়মনসিংহ, সিলেট, দিনাজপুর এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের খরস্রোতা নদী, ঝর্ণা ও লেকে এক সময় এই মাছ পাওয়া যেত। তবে অন্যান্য মাছের তুলনায় এই মাছের ডিম ধারণ ক্ষমতা কম বলে এই প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে বলে মৎস্য বিজ্ঞানীরা মনে করছেন।

বিএফআরআইয়ের মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদ জানান, মহাশোলের বিলুপ্তির কারণে বিএফআরআই নেপাল থেকে বাংলাদেশে এ মাছের পোনা আশির দশকে আমদানি করেছিল। তবে বর্তমানে রাঙ্গামাটি কাপ্তাই লেক, সোমেশ্বরী নদী,কংস নদ, ময়মনসিংহ ,ভোলা, ফেনী, খুলনা এবং সিলেট অঞ্চলে এ মাছের চাষ করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাণিজ্যিকভাবে এই মাছ চাষের ব্যপক সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নানা জায়গায় আমরা পোনা অবমুক্তকরণে জোর দিচ্ছি। আর কীভাবে এই মাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এবং তার ডিম ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, সে বিষয়ে গবেষণা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, দেশে ৬৪ প্রজাতির মিঠা পানির মাছ বিলুপ্তপ্রায়। তাই এসব মাছকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করতে বিএফআরআই মাছের কৃত্রিম প্রজনন, পোনা উৎপাদন, চাষ কৌশল ও জিনপুল সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড