আকাশ ইসলাম
পাখিদেরও যখন ঘুম ভাঙেনি তার আগেই দুবলার চরের জেলেরা ব্যস্ত হয়ে উঠে মাছ শিকারে। ভোরের সূর্য আলো ফেলার আগেই নদীতে জাল ফেলেন তারা। শুরু করেন মাছ শিকার। পরে দিনের বেলায় তা রোদে শুকিয়ে শুটকি প্রক্রিয়া করা হয়। লইট্যা, রুপচাঁদা, খলিসা, ছুরি, ভেদা, পোয়া, দাইতনা, মেদ, জাবা, কাইন, ভোলা, ঢ্যালা, চিংড়ি, সাদা মাছসহ অন্তত একশ প্রজাতির কাঁচা মাছ শুকিয়ে এ শুটকি তৈরি করেন জেলেরা। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতি অমাবস্যা ও পূর্ণিমায় বেশি মাছ পাওয়া যায়।
সাতক্ষীরা, খুলনা, পাইকগাছা, পিরোজপুর, বরগুনা, মোংলা ও রামপালের বিভিন্ন এলাকা থেকে শুটকি তৈরিতে দুবলা জেলে পল্লীর অধীনে এসব চরে এসে অস্থায়ী বসতি গড়েন তারা। আগামী ছয়মাস এখানে শুটকি তৈরি করবেন। এ জন্য তারা আলাদা পারিশ্রমিক পাবেন। এ শুটকি চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়।
পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, এবারের শুটকি প্রক্রিয়াকরণে গত বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায় বেশি হবে। জেলেরা তাদের শুটকি তৈরিতে এরই মধ্যে সাগর পাড়ের চরে ঘর তৈরি করেছেন। জেলেরা সাগরে নেমে কাঁচা মাছ সংগ্রহ করে শুকিয়ে শুটকি তৈরি করছেন। জেলেদের জন্য ১ হাজার ২৫টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলেরা যেন কোনো রকম অনিয়ম করতে না পারে সেজন্য তদারিক বাড়ানো হয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন (মোংলা সদর দপ্তর) অপারেশেন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, দুবলায় এবার জেলেদের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সুন্দরবন এবং সাগর এলাকায় দস্যু দমন অভিযান সবসময়ই অব্যাহত থাকে। যদিও সুন্দরবনকে এরই মধ্যে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরও শুটকি প্রক্রিয়াকরণের জন্য জেলেদের বাড়তি নিরাপত্তা দিতে আরো কঠোর থাকব।
শরনখোলা রেঞ্জের সহকারি বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদীন জানান, মোংলা থেকে নদী পথে দুবলা জেলে পল্লীর দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। সুন্দরবন সংলগ্ন এ পল্লীর সকল কর্মকাণ্ড জেলেদের ঘিরে। সুন্দরবন অভ্যন্তরের ১৩ টি মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ ও বাজারজাতকরণ কেন্দ্র নিয়ে গঠিত দুবলা জেলে পল্লী।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড