নিজস্ব প্রতিবেদক
সাতক্ষীরায় এবারও নানা জাতের সুস্বাদু ও মিষ্টি আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। ইতিমধ্যে আম পাকতে শুরু করেছে, যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে জনপ্রিয় সাতক্ষীরার আম। তবে চলতি বছর শুধু আম নয়, কাঁঠালেরও বাম্পার ফলন হয়েছে। রমজানের শুরুতেই বাজারে কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। সবজি হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল । চাহিদা মিটিয়ে প্রচুর কাঁঠাল পাঠানো হচ্ছে রাজধানী ঢাকা শহে। কাঁঠাল চাষে উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় চাষিরা লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে। কাঁঠাল পাকতে চাষিদের আরও ২০-২৫ দিন অপেক্ষা করতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে, চলতি বছর জেলার ৭টি উপজেলায় কাঁঠাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১১ হাজার ৫৭৩ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদরে ৩ হাজার ৯৬০ মেট্রিক টন, তালাতে ২ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন, কলারোয়াতে ১ হাজার ১৯০ মেট্রিক টন, দেবহাটায় ২০০ মেট্রিক টন, কালিগঞ্জে ৩ হাজার ২১৮ মেট্রিক টন, আশাশুনিতে ৮৫ মেট্রিক টন এবং শ্যামনগরে ২২০ মেট্রিক টন।
সাতক্ষীরা কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী আব্দুল মানান জানান, ‘এখানকার মাটি কাঁঠাল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের বাম্পার ফলন হবে। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিনের অভাব পূরণে সুস্বাদু কাঁঠাল অত্যন্ত উপযোগী।
সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন জানান, ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি কাঁঠাল ধরেছে। একটি গাছে কাঁঠাল ধরেছে গড়ে ২০ থেকে ৭০টি পর্যন্ত। প্রতিটি কাঁঠাল আকার ও চেহারা ভেদে ৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আষাঢ়-শ্রাবণ কাঁঠাল পাকার উৎকৃষ্ট সময়। তবে এবার জ্যৈষ্ঠ মাসেও পর্যাপ্ত কাঁঠাল বাজারে বেচা-কেনা হচ্ছে।
কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আব্দুল মান্নান জানান, সাতক্ষীরার সড়ক ও মহাসড়কের পাশে ব্যক্তি উদ্যোগে গাছ লাগানো হয়েছে। এছাড়া চাষিদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছে অধিদপ্তর যাতে, সারা বছর কাঁঠালের চাষ করা যায়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড