বাজারে শীতের সবজি আসছে, ৩০ টাকা কেজি শিম 

কিছুদিন আগে বাজারে দেড়শ টাকার ওপরে কেজি বিক্রি হওয়া শিম এখন পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৩০ টাকাতে। এর ফলে কিছুদিন আগে বাজারের সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হওয়া সবজিটি এখন পাওয়া যাচ্ছে সব থেকে কম দামে। যদিও শীতের অন্য সব সবজি- ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম এখনো বেশ চড়া। এর সঙ্গে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো এবং গাজর। অবশ্য সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কিছুটা কমেছে।

শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ঘুরে জানা যায়, শিমের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে শিমের কেজি ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর চলতি মাসের শুরুর দিকে ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি।

শিমের এই মূল্য হ্রাসের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মো. আলমগির বলেছেন, বাজারে আগাম আসায় কিছুদিন আগেই শিমের কেজি ১৬০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এখন দিন যত যাচ্ছে বাজারে শিমের সরবরাহ বাড়ছে। এ কারণে দামও হ্রাস পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শিমের দাম সামনে আরও কমতে পারে। কিন্তু কিছুদিন পর বাজারে বিচি শিম আসবে। তখন আবার বিচি শিমের দাম বেশি থাকবে। আর বিচি ছাড়া শিমের কেজি ২০ টাকাতেই পাওয়া যাবে।

শিমের পাশাপাশি গেল এক সপ্তাহে গাজরের দামও কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। মান ভেদে গাজরের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

বিষয়টি নিয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী নুর আলম বলেন, কিছুদিন আগে বাজারে যে গাজর পাওয়া যেত তার সবই বাইরে থেকে আমদানি করা। এখন দেশি গাজর বাজারে আসা শুরু হয়েছে। এ কারণে দামও কমছে। কয়দিন আগে যে গাজর ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে তা এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সামনে গাজরের দাম কমে ২০-৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে।

আরও পড়ুন : আ. লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা বিকালে

গাজর ও শিমের দাম কিছুটা কমলেও আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো। গত সপ্তাহের মতো পাকা টমেটোর কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আর আর কাঁচা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি।

এ দিকে পটল, বরবটি, ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। বরবটির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। ফুলকপির পিস ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং বাঁধাকপির পিস ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকার তালিকায় থাকা অন্য সবজির মধ্যে ঝিঙের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এর মধ্যে করলা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, লালশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকা, মুলাশাকের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাক বিক্রি হচ্ছে। আর পালংশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকা।

সপ্তাহের ব্যবধানে এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির দামও। বাজারে ব্যবসায়ীরা ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকা। এমনকি পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। আর লাল লেয়ার মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা।

এবার মুরগির পাশাপাশি অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের মতো ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজের কেজি গত সপ্তাহের মতো ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেচা-বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার গিয়ে জানা যায়, রুই মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। শিং মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে টাকি মাছ। শোল মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।

আরও পড়ুন : সাদা পোশাকে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

উল্লেখ্য, তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা। এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ মাছের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০০ থেকে ১২০০ টাকা। নলা মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে মাছের দামে কোনো পরিবর্তন আসেনি।

ওডি/কেএইচআর