হুমকির মুখে বিশ্বের অর্থনীতি

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতি আজ হুমকির সম্মুখীন। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করতে হবে।

সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট-২০২১-এ ভার্চ্যুয়ালি অংশ নিয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, পুরো বিশ্ব সম্প্রদায় এখন একটি ক্রান্তিকাল পার করছে। অপ্রতাশিত অভিঘাত কোভিড-১৯-এর প্রভাবে সারা বিশ্বের অর্থনীতি এখন হুমকির সম্মুখীন, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো এর ব্যতিক্রম নয়। এমন একটি মুহূর্তে এই বিষয়টির ওপর গুরুত্ব দিয়ে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি করে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় ও পথ খুঁজে বের করতে হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা সবাই অবগত যে, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে গত বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, যেখানে কমনওয়েলথভুক্ত অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ, যা বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হ্রাসের অন্যতম প্রধান নিয়ামক। দি ইউনাইটেড ন্যাশন্স কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট এর একটি প্রতিবেদনে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, ২০২০ সালে গ্লোবাল ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট হ্রাস পেয়েছে ৪২ শতাংশ। আর এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কমনওয়েলথ অর্থনীতি ৫০ শতাংশ এরও বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পটভূমিতে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ উভয় ক্ষেত্রেই একটি শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পথ খুঁজে বের করাই আমাদের আজকের এই সভার মহৎ উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, ২০২০ সালের আইএমএফ-এর অক্টোবরের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব অর্থনীতিতে গড় ৪.৪ শতাংশ শতাংশের নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা যায়। সেসময়ে অল্প কয়েকটি ইতিবাচক অর্থনীতির মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী, মহামারি প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়িয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের উপায় এবং পথ খুঁজে বের করার পাশাপাশি আমরা কমনওয়েলথের গৌরবময় অতীত ফিরে পেতে পারি।

আরও পড়ুন: মঙ্গলবার বসছে সংসদ অধিবেশন

সভায় কমনওয়েলথ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কাউন্সিলের চেয়ারম্যান লর্ড মারল্যান্ড এবং যুক্তরাজ্যের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী এবং বাণিজ্য বোর্ডের সভাপতি এলিজাবেথ ট্রাসসহ আরও বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন।

ওডি/আজীম