নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বাজারগুলোতে চাল, ডাল, তেলসহ প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দাম কমেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বংলাদেশে’র (টিসিবি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
টিসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক মাসে নাজির ও মিনিকেট চালের দাম ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ কমে ৫৪ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম ৫ শতাংশ কমে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
গত এক মাসে প্যাকেট আটার দাম ১৫ দশমিক ৫৮ শতাংশ কমে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে খোলা আটার কেজি আগের মতোই ২৮ থেকে ৩২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্য তেলের মধ্যে গত এক মাসে সব থেকে বেশি দাম কমেছে লুজ পাম অয়েলের। লুজ পাম অয়েলের দাম ১২ দশমিক ৯০ শতংশ কমে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা লিটার বিক্রি হচ্ছে। এক লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ২ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে ১০০ থেকে ১১০ টকা হয়েছে। আর বোতলের ৫ লিটারের সয়াবিন তেলের দাম ১ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে ৪৬৫ থেকে ৫২০ টাকা হয়েছে।
গত এক মাসে বড় দানার মসুর ডালের দাম ২৬ দশমিক ৩২ শতাংশ কমে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। মাঝারি দানার মসুর ডালের দাম ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ কমে ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট দানার মসুর ডালের কেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। এতে দাম কমেছে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ ও রোজার ভেতর কয়েক দফা দাম বাড়লেও গত এক মাসে একাধিক দফায় কমেছে চিনির দাম। চলতি মাসেও এক দফা দাম কমেছে চিনির। এতে মাসের ব্যবধানে ৭ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং সপ্তাহের ব্যবধানে ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ কমে চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকার মধ্যে।
দেশি পেঁয়াজের দাম ১০ দশমিক ৫৩ শতাংশ কমে কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ ২২ দশমিক ২২ শতাংশ কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। দেশি রসুনের দাম ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ কমে ৯০ থেকে ১২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। গত এক মাসে এ পণ্যটির দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড