• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মিলারদের কারসাজিতে দিশেহারা ভোক্তা 

  নিজস্ব প্রতিবেদক

০৮ এপ্রিল ২০২০, ১০:৪১
চালের মজুদ
চালের মজুদ (ছবি : সংগৃহীত)

দেশে চালের পর্যাপ্ত মজুদ থাকার পরও গত নভেম্বর থেকেই মিলাররা কারসাজি করে চালের দাম বাড়াতে তৎপর হয়ে ওঠেন। এ ক্ষেত্রে তারা একেক সময় একেকটা অজুহাত দাঁড় করানোর চেষ্টা করছেন। সবশেষ করোনাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে খালি করছেন ক্রেতার পকেট।

সরকারের একাধিক সংস্থার বাজার তদারকি উপেক্ষা করে ধানের বাড়তি দাম, বৈশাখে নতুন ধানের অপেক্ষা এবং করোনার অজুহাত সামনে রেখে মিলাররা গত এক মাসে মিল পর্যায়েই প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) চালে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে। ফলে করোনার এই দুর্দিনে চাল কিনতে দিশেহারা ভোক্তা।

এদিকে রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ও সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মূল্যতালিকা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, রাজধানীর খুচরা বাজারে এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি গরিবের চালে (মোটা চাল) ৮-১২ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা।

এ ছাড়া নাজিরশাইল, মিনিকেট ও বিআর-২৮ চালে মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৫-৬ টাকা বেড়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, চালের দাম বাড়ায় খেটে খাওয়া মানুষের চাল কিনতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ববিধি মানতে গিয়ে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্নআয়ের মানুষের কাছে এমনিতেই টাকা নেই। তার ওপর বাড়তি দামে চাল কিনতে গিয়ে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। দায় পড়ছে সরকারের ওপর।

আরও পড়ুন : খুনি মাজেদের শেষ পথ রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেলের সদস্য আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, আমরা প্রতিদিন বাজার তদারকি করছি। এ সময় চালের দাম বাড়িয়ে বিক্রির দায়ে অনেক প্রতিষ্ঠানকে শাস্তির আওতায় আনছি। কোনো অনিয়ম পেলে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। দাম সহনীয় রাখতে অভিযান চলমান আছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড