নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামন্দায় চাহিদা বা যোগান যেকোনো এক দিকে সংকট তৈরি হয়। কিন্তু এবার চাহিদা ও যোগান দুই ক্ষেত্রেই সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মন্দার যতগুলো লক্ষণ আছে আছে তার সবগুলোই এখন বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে।
এমন অবস্থায় একমাত্র ভরসা কৃষি। দেশের একমাত্র কৃষিখাত ছাড়া আর সব খাতই করেনার ছোবলে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আর এই কৃষিখাতকেও কতদিন ধরে রাখা যাবে তা নির্ভর করছে সার, বীজ ও কীটনাশকের সরবরাহের উপর। এর ওপরে পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা কতটা সচল রাখা যায় তাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য অভ্যন্তরীণ শিল্প ও সেবাখাত ধস।
আর সবার ওপরে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া মন্দাকে গভীর করবে। কারণ করোনা শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে থামবে কেউ বলতে পারেন না। করোনা প্রতিরোধের উপায় হলো বিচ্ছিন্নতা। বিচ্ছিন্নতাই মন্দার পেছনে কাজ করে৷
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এশীয় উন্নয়ন ব্যংক যে প্রবৃদ্ধির কথা বলছে তা একমাস আগের তথ্যের ভিত্তিতে ফলে ওটার ওপর আস্থা রাখার কোনো কারণ নেই। আমরা মন্দার কবলে পড়ে গেছি।’
বিআইডিএস-এর অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন,‘ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রপ্তানি ২৩ ভাগ কমেছে। আমদানি কমেছে নয় ভাগ। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হলো শিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমে গেছে। এর মানে হলো সব ধরনের শিল্প উৎপাদন কমে গেছে। এটা আরো খারাপ হওয়ার আশঙ্কা আছে।’
তার মতে, মহামন্দার সময় দেখা গেছে সরবরাহ বা চাহিদা যেকোনো একটায় সংকট হয়। কিন্তু এবার দুটোতেই সংকট। ‘মন্দার সব উপাদান আমরা এখন দেখছি', ড. নাজনীন বলেন।
আরও পড়ুন : নয়-ছয় করলে আমি কিন্তু ছাড়ব না : প্রধানমন্ত্রী
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) মাসখানেক আগের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে অর্থনেতিক প্রাক্কলনে বলছে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে। বাংলাদেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমান হবে ক্ষতির পরিমাণ ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার (১ ডলার ৮৫ টাকা হিসাবে ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা)। জিডিপির শূন্য দশমিক ২ থেকে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষতি হবে। তবে সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধি দুই শতাংশের বেশি কমার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড