• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনায় ছাড় পাচ্ছে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিরা? 

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

৩১ মার্চ ২০২০, ০৮:৫৫
ঋণখেলাপি
ঋণখেলাপি (ছবি : পতীকী)

করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবিলায় অনেক পদক্ষেপ বা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর মধ্যে অন্যতম, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত কাউকে ঋণখেলাপি করা যাবে না।

এছাড়া বিশেষ সুবিধার আওতায় পুনঃতফসিলকৃত ঋণের বিপরীতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি বা প্রভিশন সংরক্ষণ করার প্রয়োজন নেই। এসব সুবিধা কারা পাবেন? করোনায় সত্যিকারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান, নাকি ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরাও এ সুবিধা পাবেন- এমন প্রশ্ন তুলেছে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান- সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি মোকাবেলায় দেশ-বিদেশে গৃহীত নানা পদক্ষেপ সংক্রান্ত সিপিডির এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের জুন পর্যন্ত ঋণগ্রহীতাদের বিশেষ সুবিধা এবং রিসিডিউলের বিপরীতে প্রভিশন সংরক্ষণে ছাড় দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর ফলে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা কতটুকু উপকৃত হবেন?

নাকি করোনাভাইরাসকে উপলক্ষ করে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের আবারও সহযোগিতা দেওয়া হবে- সে বিষয়ে জানতে চায় সিপিডি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, প্রশ্নের যৌক্তিকতা আছে। এ আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যারা দীর্ঘদিনের ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি। যাদের অতীতে কখনও ঋণ পরিশোধের রেকর্ড নেই। সমাজে যারা ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত। এ ধরনের ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ৬ মাস ঋণখেলাপিমুক্ত রাখা উচিত হবে না। কারণ এরা কখনও টাকা পরিশোধ করেনি, উল্টো নানা ইস্যুতে অনেক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন।

সিপিডির প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এমনিতেই দেশের ব্যাংকিং খাত নানা চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ খেলাপিতে হুমকির মুখে অর্থনীতি। অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অন্ধকারে ব্যাংকিং খাত। তার পরেও ঋণখেলাপিদেরকেই বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। নতুন করে সৃষ্ট করোনাভাইরাস উপলক্ষে ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের আবারও যেন সুযোগ-সুবিধা দেয়া না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেন, যখন কোনো দেশে মহামারী অথবা ক্রান্তিকাল চলে আসে তখন বিভিন্ন নীতি-সহায়তা দিয়ে সাহায্য করে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর মধ্যে বাজারে টাকার প্রবাহ বৃদ্ধি করা অন্যতম। মহামারীর কারণে যখন কর্মসংস্থানের অভাব দেখা দেয় তখন স্বাভাবিকভাবেই তারল্য বাড়িয়ে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এর জন্য বিশেষ তহবিল গঠন, বন্ড বিক্রি এবং ঋণের সুদ হার কমানোর মতো সূচকগুলো অন্যতম।

আরও পড়ুন : দেশে দুই লাখ ৬৬ হাজার ১১৮ ঋণখেলাপি : অর্থমন্ত্রী

ইতোমধ্যেই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শ্রেণিমান পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞাসহ অনেকগুলো নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেগুলো হল- ক্রেডিট কার্ড ডেবিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের লেনদেনে নির্দিষ্ট সীমা পর্যন্ত ফ্রি চার্জ, রফতানির সময়সীমা বৃদ্ধি, রফতানিপণ্যের টাকা দেশে আনার সময়সীমা বৃদ্ধি, বন্ডের মাধ্যমে তারল্য বৃদ্ধির উদ্যোগ ব্যাংকগুলোতে, ঋণপত্র খোলার পর শিল্প কাঁচামাল আমদানির সর্বোচ্চ সময়সীমা বৃদ্ধি, সিআরআর এবং এসএলআর কমানো অন্যতম।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড