নিজস্ব প্রতিবেদক
কেউ এক মাসের কেউ দুই থেকে তিন মাসের অনেকে আবার রোজার বাজারও এক সঙ্গে সেরে রেখেছেন। গেল সপ্তাহ জুড়ে এমনটাই ছিল বাজারে বাজারের বেচা-কেনা। দেশে নিত্যপণ্য যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে তাই বেশি কেনার প্রয়োয়ন নেই সরকারের এমন আহ্বানে সাড়া না দিয়ে ঘর ভর্তি করেছেন করোনা আতঙ্কিত মানুষ।
ক্রেতাদের এমন হুজুগে কাণ্ডে প্রভাব পড়েছে বাজারে। প্রতিটি পণ্যে অবৈধভাবে দাম বৃদ্ধি করে এর সুযোগ নিয়েছেন বিক্রেতারা। সব শেষ হয়েছে ফাঁকা বাজার। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন নিত্য পণ্যের বাজারগুলো ঘুরে দেখা মেলেনি স্বাভাবিক ক্রেতার।
দোকানিরা বলছেন, যা কেনার আনুষ আগেই কিনে নিয়েছে। আজ থেকে আগামী ১০ দিন গণপরিবহন বন্ধ ও সাধারণ ছুটি হওয়ায় অনেকেই ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন।
বাজার ঘুরে জানা যায়, সম্ভাব্য লকডাউন আতঙ্কে গত কয়েকদিন ধরে চাহিদার কয়েকগুণ বেশি চাল, ডাল, তেল, লবণ, পেঁয়াজ, চিনি, শিশুখাদ্যসহ ডায়াপার ও জীবাণুনাশক কিনছিলেন সাধারণ মানুষ। এই সুযোগে বাড়তি দামে পণ্যক্স বিক্রি করেছেন দোকানিরা। এখন প্রত্যাশা অনুযায়ী ক্রেতা না থাকায় নিত্যপণ্যের দাম নতুন করে আর বাড়েনি। তবে আগের বাড়তি দাম এখনও বহাল রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহল্লার ওষুধের দোকান, খাবারের দোকান খোলা রয়েছে। খোলা রয়েছে সবজির বাজার, মাছের বাজারসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান। সবজি ও মাছের বাজার চড়া থাকলেও চাহিদা কমে যাওয়ায় ও সরবরাহ প্রচুর হওয়ায় কমেছে পেঁয়াজের দাম।
জানতে চাইলে এক ক্রেতা মুক্তার ইসলাম বলেন, ‘বাজারে এখন বেশি যাচ্ছি না। কিছু কাঁচাবাজার নিতে যাতো। নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্য আগেই কিনে রেখেছি যা দিয়ে আগামী ২ থেকে ৩ মাস চলে যাবে।
রাজধানীর কাওরানবাজারে এক পাইকারি ব্যবসায়ী ইকরামুল হক বলেন, বাজারে এখন আগের মতো কেনার লোক নাই। মানুষ আতঙ্কে যা কেনার আগেই কিন্না (কিনে) নিয়া গেছে।।
ওডি/এসএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড