নিজস্ব প্রতিবেদক
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অটোমেশনের শর্তে আগামী ১৭ মার্চ থেকে ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার আগের মতো ১১ দশমিক ২৮ শতাংশে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রথমে জেলা পর্যায়ে, এরপর উপজেলা পর্যায়ে বাস্তবায়ন হবে।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে অর্থনীতি ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
অটোমেশন প্রক্রিয়ার পর ডাকঘর সঞ্চয় স্কিম দুই লাখের বেশি হলেও তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে টিআইএন নম্বর বাধ্যতামূলক করা হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই পরিপত্রে ডাকঘরে যে সঞ্চয় ব্যাংক রয়েছে, সেই ব্যাংকের সুদের হার সরকারি ব্যাংকের সুদের হারের সমপর্যায়ে নিয়ে আসা হয়। এতে তিন বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়, যা আগে ছিল ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়।
ডাকঘরে ৪ ভাবে টাকা রাখা যায়। ডাকঘর থেকে জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে সঞ্চয়পত্র কেনা যায়, ডাকঘর সঞ্চয় ব্যাংকে মেয়াদি হিসাব ও সাধারণ হিসাব খোলা যায়। আবার ডাক জীবন বীমাও করা যায়।
ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে মূলত প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও পেনশনভোগীরা উপকৃত হন বলে সুদের হার কমানোয় জাতীয় সংসদেও সমালোচনা হয়। এরপর ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমের সুদের হার কমানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ব্যাংকিং অটোমেশন করাতে কেউ লিমিট ক্রস করতে পারবে না। পেনশনভোগীদের জন্য পরিমাণ বেশি করা হয়েছে। পোস্ট অফিসে বিদ্যমান আইনে রয়েছে ৩০ লাখ, যা অনেক বেশি। সেখানে সুদের হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ রাখা হয়েছে।
সঞ্চয় স্কিমের সুদ কমানোর বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা যখন দেখলাম পোস্ট অফিসে সবাই চলে যাচ্ছে, এটা কীভাবে বন্ধ করব? এটি বন্ধ করতে হলে ইন্টারেস্ট নেই বলতে হবে। একবার যদি কিনে ফেলে, তখন তো আর কিছুই করার নেই।
মুস্তফা কামাল বলেন, আগামী ১৭ মার্চের মধ্যে অটোমেশন শেষ হলে আগের সুদের হারে ফিরে যাবে।
অটোমেশনের পর গ্রাহকদের আইডি নম্বর ও টিআইএন নেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, কারা কেনে আমরা তা জানতে চাই, যাতে করে অপব্যবহার না হয়।
আরও পড়ুন : পাপিয়ার বিষয়ে র্যাবকে নতুন তথ্য দিল ওয়েস্টিন
তিনি আরও বলেন, পোস্ট অফিসে যে ৩০ লাখ আছে, সেখানে লাগবে। কিন্তু প্রথম দুই লাখ পর্যন্ত কোনো কিছু আমরা চাইব না, এছাড়া টিআইএনও জমা দেওয়া লাগবে না। কিন্তু ইন্টারেস্ট ১১ প্লাস পাবে। দুই লাখ পর্যন্ত অনেকেই আছে, তারা স্বাক্ষর করতে পারে না, তাদের দিয়ে এতটুকু হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে সঞ্চয়পত্র যাদের চালু হলো, এটি তারাই পাবে। বেশি মিসইউজ হওয়ার কারণে এভাবে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হয়েছে। কমিশন গঠনের বিষয়ে তিনি বলেন, অবশ্যই ব্যাংক কমিশন গঠন করা হবে। তবে একটু সময় লাগবে।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড