• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পরিচালনা পর্ষদ ও কর্মকর্তাদের আস্থা অর্জনই বড় চ্যালেঞ্জ

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৪৪
কাজী ছানাউল হক
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন এমডি হিসেবে কাজী ছানাউল হক (ছবি : সম্পাদিত)

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কাজের মূল্যায়নের ওপর ভিত্তি করে বার্ষিক পদোন্নতি অথবা বেতন বৃদ্ধি হচ্ছে না দেখে কর্মকর্তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। এমন পরিস্থিতিতে সদস্যদের আস্থা অর্জন করা ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হকের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

ডিএসই-এর কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নতুন হিসেবে কাজী ছানাউল হক নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু এখানে পরিচালনা পর্ষদের একটি অংশের বিরোধিতা ছিল। তবে পর্ষদের যে সদস্যদের ভূমিকার কারণে ছানাউল হক এমডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের একজন বাদে সবাই পর্ষদ থেকে বিদায় নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে সকলের আস্থা অর্জনই এখন তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতিবছরই ডিএসই-এর কর্মকর্তাদের বার্ষিক কাজের মূল্যায়নের ভিত্তিতে পদোন্নতি দিয়ে বেতন বৃদ্ধি করা হয়। কিন্তু এবার নিয়মিত এমডি না থাকার অজুহাতে বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে। অথচ প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) এবং এমটিও (ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি অফিসার) পদে উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বার্ষিক কাজের মূল্যায়ন করে যোগ্যদের পদোন্নতি হবে বলে কর্মকর্তারা যে প্রত্যাশা করছেন, তার চাপও থাকছে নতুন এমডির কাঁধে।

কর্মকর্তারা আরও বলছেন, প্রতিবছরই ডিপার্টমেন্টাল হেডদের বেশি নম্বর ও জুনিয়রদের কম নম্বর দেওয়া হয়। যে সকল কর্মকর্তারা কম নম্বর পান, বছর শেষে তাদের পদোন্নতিও হয় না। আর বেতনও বাড়ে না। অন্যদিকে যাদের বেশি (আউটস্ট্যান্ডিং) নম্বর পেয়ে পদোন্নতি হয়, তাদের বেতন বাড়ে ৫ শতাংশ এবং যাদের গুড মার্কিং দেওয়া হয়, তাদের বেতন বাড়ে ৪ শতাংশ। কিন্তু তাদের কোনো পদোন্নতি হয় না।

কর্মকর্তারা কাজের মূল্যায়ন থেকে বঞ্চিত হলেও এমটিও ও নির্বাহী পদে ১৩ জনকে উচ্চ বেতনে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব কর্মকর্তাদের মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করে নিয়োগ দেওয়া হলেও কয়েক মাসের মধ্যে ৩ জন এমটিও এবং ১ জন নির্বাহী চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে ডিএসই-এর এক কর্মকর্তা বলেন, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি না দিয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়োগ দেওয়া হলেও তারা থাকছেন। এর ফলে নিয়োগের জন্য একদিকে যেমন মোটা অঙ্কের টাকা খরচ হচ্ছে, অন্যদিকে কর্মকর্তাদেরও ক্ষোভ বাড়ছে। মাসিক ২ লাখ টাকা বেতনে প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রতিমাসে তার গাড়ি, প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ অন্যান্য সুবিধা বিবেচনায় নিলে তার বেতন-ভাতা ৪ লাখ টাকার ওপরে দাঁড়ায়। অথচ তিনি মার্কেটের উন্নয়নের কোনো কাজ না করে ডিএসই থেকে কর্মকর্তা ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। এর ফলে ডিএসই-এর কর্মকর্তাদের মধ্যে বিরাজ করছে অসন্তোষ।

আরও পড়ুন : টিআইএন ব্যতীত সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার নির্দেশ

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এমডি নিয়োগ নিয়ে যা হয়েছে, এর আগে কোনো কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে ডিএসইতে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। এর ফলে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা একটু সমস্যা হতে পারে নতুন এমডির পক্ষে। তবে পর্ষদ সদস্য ও কর্মকর্তাদের আস্থা অর্জন করতে পারলে তাকে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

ডিএসই-এর পর্ষদের ১২ জন পরিচালকের মধ্যে ৭ জনই স্বতন্ত্র পরিচালক। এদের মধ্যে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম, সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, মনোয়ারা হাকিম আলী, ওয়ালীউল ইসলাম ও ড. এম কায়কোবাদ-এই ৫ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। পরিচালকদের একটি অংশ কাজী ছানাউল হককে এমডি করার বিপক্ষে থাকলেও এই ৫ জন তার পক্ষে ছিলেন। আর এ কারণেই শেয়ারহোল্ডার পরিচালকদের বড় অংশের বিরোধিতা সত্ত্বেও এমডি পদে নিয়োগ পান তিনি।

ওডি/এওয়াইআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড