পুঁজিবাজারে আসছে এডিবির দেড় হাজার কোটি টাকা

বাংলাদেশের শেয়ারবাজার পুনর্গঠন, দ্রুত বিকাশ ও কাঠামোগত উন্নয়নের জন্য এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ১৭ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে)। থার্ড ক্যাপিটাল মার্কেট ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (সিএমডিপি-৩) আওতায় দ্বিতীয়বারের মতো এই পরিমাণ ঋণ অনুমোদন করল এডিবি।

এর আগে, একই প্রকল্পে আট কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল সংস্থাটি। পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী এবার তারা দিচ্ছে দ্বিগুণের বেশি ঋণ।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এডিবির ঢাকা অফিস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ফিলিপাইনের ম্যানিলায় এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ ঋণ অনুমোদন করা হয়।

এডিবির এক্সট্রারনাল রিলেশন বিভাগের টিম লিডার গোবিন্দ বার বলেন, ২০১৫ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার সংস্কারে ২৫ কোটি ডলারের সিএমডিপি-৩ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। প্রথম ধাপে ৮ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন দেয় এডিবি। দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৭ কোটি ডলারের ঋণ অনুমোদন করেছে সংস্থাটি। এ ঋণ শেয়ারবাজারের পুনর্গঠনের জন্য ব্যবহার করা হবে।

আরও পড়ুন : বিএনপির সমাবেশে নতুন কর্মসূচি

দেশের শেয়ারবাজারের বিকাশে ১৯৯৬ সালে ৮ কোটি ডলারের ঋণ দেয় এডিবি। ২০১০ সালের ডিসেম্বরের বাজার ধসের পর আবারও পুঁজিবাজারকে সহায়তা করে সংস্থাটি। ২০১২ সালে সিএমডিপি-২ প্রকল্পের আওতায় দুই ধাপে ৩০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেয় এডিবি। আর ২০১৫ সালে সিএমডিপি-৩ প্রকল্পের মাধ্যমে দুই ধাপে ২৫ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দেয় সংস্থাটি।

এডিবির এই ঋণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক ও নিয়ন্ত্রণ কাঠামোর রূপান্তর ঘটবে বলে অনেকেই মনে করছেন। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে গেলে শক্তিশালী শেয়ারবাজারের বিকল্প নেই। সংস্থাটির ঋণে টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে অগ্রগতি হয়েছে, সামনে আরও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।

ওডি/টিএএফ