• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার অর্ধেক

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৩:০৮
সঞ্চয়পত্র
সঞ্চয়পত্র (ছবি : সংগৃহীত)

ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে ঋণের পরিমাণ কমাতে নানা রকমের শর্ত আরোপের সঙ্গে সঙ্গে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রে উৎসে কর ১০ শতাংশ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু এবার ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমিয়ে প্রায় অর্ধেকে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। অর্থাৎ এখন থেকে গ্রাহকরা যে পরিমাণ মুনাফা পেত তার অর্ধেক মুনাফা পাবে।

সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্রে গ্রাহক ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ মুনাফা পেত। কিন্তু এখন থেকে ৬ শতাংশ মুনাফা পাবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে, যা বৃহস্পতিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে।

জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে ৩ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৬ শতাংশ, ২ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৫ শতাংশ এবং ১ বছর মেয়াদি ডাকঘর সঞ্চয়পত্রে সুদহার ১০ দশমিক ২০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া আমানতকারীরা চাইলে প্রতি ৬ মাস অন্তরও মুনাফা উত্তোলন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকরা প্রথম বছরে ৯ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৯ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ১০ শতাংশ হারে সুদহার পেত। কিন্তু এখন থেকে প্রথম বছরে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরে সাড়ে ৪ শতাংশ এবং তৃতীয় বছরে ৫ শতাংশ হারে মুনাফা পাবেন।

জাতীয় সঞ্চয়পত্র অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সকল শ্রেণি-পেশার বাংলাদেশি নাগরিক ডাকঘর সঞ্চয়পত্র কিনতে পারবেন। এমনকি নাবালক হয়েও এ সঞ্চয়পত্র কেনা যায়। এ ক্ষেত্রে একক হিসেবে সর্বোচ্চ ৩০ লাখ ও যুগ্ম হিসেবে সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা যাবে।

এ দিকে সরকারের নানা শর্তে সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণও কমেছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৯-২০) পঞ্চম মাসে (নভেম্বর) ৩২০ কোটি ৬২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। অথচ আগের বছর একই মাসে এই বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ হাজার ৮৩৩ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন : টিআইএন ব্যতীত সঞ্চয়পত্র বিক্রি না করার নির্দেশ

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিভিন্ন পক্ষের দাবিতে এ খাতে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সঞ্চয়পত্রের সুদহার না কমিয়েও সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিল। এর জন্য ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়। তবে উৎসে কর বাড়ালেও এখনো ডাকঘর সঞ্চয়পত্র ছাড়া অন্যান্য সঞ্চয়পত্রে সুদহার কমায়নি সরকার। এছাড়া ১ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন।

সম্প্রতি ক্রেতাদের সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে। সঞ্চয়পত্রে দুর্নীতি ও অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতাদের তথ্য ডাটাবেসে সংরক্ষণের জন্য অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে। এরকম বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সরকার সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হচ্ছে।

ওডি/এওয়াইআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড