অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
নিত্যপণ্যের বাজারে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চীন থেকে আমদানিকৃত রসুন ও আদার দাম বেড়ে গেছে। এর সঙ্গে আরও বেড়েছে পেঁয়াজ, গুঁড়ো দুধ, চাল, ডাল, চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর রামপুরা, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও, শান্তিনগর, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি বাজার, নয়াবাজার, ফকিরাপুল কাঁচা বাজার, কমলাপুর ও কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম পাইকারি বাজারের চেয়ে ১০ থেকে ২০ টাকা বেশি রাখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চীনে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর সেখান থেকে রসুন ও আদা আসা কমে গেছে। এ দিকে দেশি রসুনেরও মৌসুম শেষ। আর তাই রসুনের সরবরাহ কমে গেছে। এ জন্যই পণ্য দুটির দাম বেড়ে গেছে।
পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি রসুন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ খুচরা বাজারে তা ১৯৫ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি আদা ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর খুচরা বাজারে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এসব বাজারে মুলা ১৫ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ২৫ থেকে ৩০ টাকা, বেগুন ৩০ টাকা, লাউ ২০ টাকা, শসা ২৫ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, শিম ৩০ টাকা, গাজর ২৫ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এ দিকে শীতকালীন সবজির দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকলেও বেড়ে গেছে মাছের দাম। তেলাপিয়া ১২০ টাকা, রুই ২২০ টাকা, কাতল ২৪০ টাকা, শিং ৩৫০ টাকা, চিংড়ি ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৬০০ টাকা, ছোট মাঝারি আকারের ইলিশ মাছ ৪৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তবে অপরিবর্তিত আছে মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১২০ টাকা, লেয়ার ২২০ টাকা ও দেশি মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬০০ টাকা ও খাসির মাংস ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর পেঁয়াজের বাজারে দেশি পেঁয়াজ ১২০ টাকা, ভারতের নাসিক পেঁয়াজ ১২৫ টাকা, পাকিস্তানের পেঁয়াজ ১১০ টাকা, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, খুচরা বাজারে সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ১০৫ টাকা, প্রতিকেজি চিনি ৬৫ থেকে ৭০ টাকা, মোটা চাল ৩০ টাকা, মিনিকেট চাল ৪২ টাকায় এবং প্যাকেটজাত ৫০০ গ্রাম গুঁড়ো দুধ ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আরও পড়ুন : সুইজারল্যান্ডের চোখ পড়েছে বাংলাদেশের ইলিশে
কারওয়ান বাজারে মো. রবি নামে এক ক্রেতা বলেন, নিত্যপণ্যের দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে গেছে। মাছের দামও অনেক বেশি। যা আয় হয়, তার থেকে তো ব্যয়ই অনেক বেশি।
পণ্যের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘বাজার এখন অস্থির। জনসাধারণকে জিম্মি করে বাড়ানো হচ্ছে পণ্যের দাম। আড়তদাররা অজুহাত পেলেই সিন্ডিকেট করে বাড়িয়ে দিচ্ছে পণ্যের দাম। এই সিন্ডিকেটরা বাজার মনিটরিং কমিটির গাফেলতির জন্যই সুযোগ নিচ্ছে।’
ওডি/এওয়াইআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড