২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর) প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, ২০২৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতি মালয়েশিয়া, হংকং ও সিঙ্গাপুরকে ছাড়িয়ে বিশ্বের ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এ বছর বাংলাদেশের অর্থনীতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ টেবিলের ৪০তম স্থান থেকে ২০২৯ ও ২০৩৪ সালের মধ্যে যথাক্রমে ২৬তম ও ২৫তম অবস্থানে উঠে আসবে।

সম্প্রতি ১৯৩টি দেশের ২০৩৪ সালের অর্থনীতির পূর্বাভাস ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ তাদের প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ গত বছরের পিপিপি সমন্বিত জিডিপি ৫ হাজার ২৮ ডলারের সমন্বয়ে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। ৭ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্দান্ত করেছে। অবশ্য ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছিল।

এ দেশের জনসংখ্যা ২০১৪ সাল থেকে প্রতি বছর এক শতাংশ হারে বাড়ছে। এর মানে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় মাথাপিছু আয় যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর জিডিপির অংশ হিসেবে সরকারি ঋণ বেড়ে ৩৪ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছিল যা তার আগের বছর (২০১৮ সালে) ৩৪ শতাংশে ছিল।

ঋণ বৃদ্ধির পরও সরকারি আর্থিক খাত ভালো অবস্থানে রয়েছে। গত বছরে অপেক্ষাকৃত কম ঋণের বোঝা সরকারকে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঘাটতি বাজেট দিতে সহায়ক হয়েছিল।

সিইবিআর ভবিষ্যদ্বাণী করছে, ২০২০ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির বার্ষিক হার গড়ে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। পরবর্তী ৯ বছরে অর্থনীতি বৃদ্ধির এ হার বজায় থাকলে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লিগ তালিকায় বাংলাদেশ ৪০তম স্থান থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে ২৫তম স্থানে উঠে আসবে।

সংস্থাটি প্রযুক্তির বর্ধিত প্রবৃদ্ধির কারণে ২০৩৩ সালে চীন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে। অন্যদিকে ২০২৬ সালে ভারত জার্মানিকে ছাড়িয়ে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে আর ২০৩৪ সালে জাপানকে পেছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে।

ওডি/এওয়াইআর