বাণিজ্য মেলার পর্দা উঠছে আজ

আজ বছরের প্রথম দিনে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অস্থায়ী মেলার মাঠ সংলগ্ন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকাল ১০টা আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২০ এর উদ্বোধন করবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে মাসব্যাপী আয়োজিত এই মেলার ২৫তম আসরের আয়োজন করেছে।

গত মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি জানান, এবারের বাণিজ্য মেলা ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে। জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে মেলার প্রধান গেট সাজানো হয়েছে, সঙ্গে থাকছে পদ্মা সেতুর মডেল। দর্শনার্থী ও মেলায় আগত দেশি-বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য সুযোগ সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। আগের বছরের তুলনায় খোলামেলা পরিসরে এবার স্টলের সংখ্যা কমানো হয়েছে। গতবারের মেলায় ছোট-বড় স্টলের সংখ্যা ছিল ৬৩০টি যা এবার কমিয়ে ৪৮৩টি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১২টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন ও ২৪৩টি স্টল।

সরকার ২০২১ সালে বাংলাদেশের রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে এবং ২০২৭ সালের পর বাংলাদেশ আর এলডিসি দেশের সুবিধা ভোগ করতে পারবে না। এজন্য অন্যান্য দেশের সঙ্গে এফটিএ এবং পিটিএ করার জন্য প্রচেষ্টা চলছে।

এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকবে। মেলাতে ৬৪টি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন হয়েছে যার মধ্যে ১৩টি সাধারণ প্যাভিলিয়ন, ৫৯টি সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ও ৪২টি প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন।

তিনি আরও বলেন, মেলা প্রাঙ্গণে ২টি রেস্তোরা, ৭টি স্ন্যাকস বুথ, ৮৪টি প্রিমিয়ার স্টল, ৬টি সংরক্ষিত প্যাভিলিয়ন, ৮টি মিনি প্যাভিলিয়ন, ১০৭টি সাধারণ স্টল ও ৩৫টি ফুড স্টল রাখা হয়েছে। পাশপাশি ২৭টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ১১টি বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ১৭টি বিদেশি প্রিমিয়াম স্টল।

ইপিবি সূত্রমতে জানা যায়, ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০২০ এর মূলগেট বাংলাদেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে বর্তমান সরকারের চলমান মেগা প্রকল্প সন্নিবেশ করে নির্মাণ করা হচ্ছে। গণপূর্ত বিভাগ স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় এই কাজটি করেছে।

এ প্রসঙ্গে ইপিবি’র ভাইস চেয়ারম্যান (ভিসি) ফাতিমা ইয়াসমিন জানান, এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী সামনে রেখে নতুন আঙ্গিকে নতুন ডিজাইনে নির্মাণ করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ স্থাপত্য অধিদপ্তরের নকশায় কাজটি করেছে।

এ বছরও ১টি মেডিকেল সেন্টার, ২টি মা ও শিশু কেন্দ্র, শিশুপার্ক, ই-পার্ক ও পর্যাপ্ত ব্যাংকের এটিএম বুথ থাকবে। পলিমার পণ্য, কসমেটিকস হারবাল, প্রসাধনী সামগ্রী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন জুয়েলারি, নির্মাণ সামগ্রী ও ফার্নিচার, রেডিমেড গার্মেন্ট পণ্য, হোমটেক্স, ফেব্রিকস পণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালী ও উপহার সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, তৈজসপত্র, সিরামিকসহ প্লাস্টিক পণ্যের স্টলও থাকবে।

বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা রোধে এ বছরও ভ্রাম্যমাণ আদালত ও ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি করবেন এবং পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরার সঙ্গে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সাদা পোশাকে মেলা প্রাঙ্গণ টহল দেবেন।

ওডি/এওয়াইআর