• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন শেষ হচ্ছে কাল

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২৯ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৩৮
ভ্যাট নিবন্ধন
ছবি : অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন

বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য অনলাইনে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে শনিবার (৩০ নভেম্বর)।

অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক ব্যবসা শনাক্তকরণ সংখ্যা (ই-বিআইএন) গত বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) পর্যন্ত ১ লাখ ছাড়িয়েছে। তবে সময়সীমা পার হওয়ার পরেও কোনো ব্যক্তি নতুন প্রতিষ্ঠান চালু বা ব্যবসা শুরু করতে চাইলে, সে ক্ষেত্রে নিবন্ধন নিতে পারবেন। সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে করজালের আওতায় নিয়ে আসা, অস্তিত্বহীন বা ভুয়া নিবন্ধন বন্ধ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০১৭ সালের ২৩ মার্চ অনলাইনে নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করে। ১১ ডিজিটের পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন বাতিল করে সব ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের জন্য ই-বিআইএন গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়। ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের সময়সীমা কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে। তবে এবার আর সময়সীমা বাড়ানো হচ্ছে না।

এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (মূসকনীতি) আব্দুল মান্নান সিকদার বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর বিদ্যমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন ও পুনর্নিবন্ধন গ্রহণের সময় শেষ হচ্ছে। এই সময়সীমার পরে বিদ্যমান কোনো প্রতিষ্ঠান পুরনো নিবন্ধন দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বা অন্যান্য ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবেন না। তার ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অব্যশই অনলাইন ভ্যাট নিবন্ধন বা নতুন ই-বিআইএন নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বিদ্যমান কোনো প্রতিষ্ঠান যদি ইতোমধ্যে অনলাইনে ভ্যাট নিবন্ধন না নিয়ে থাকে, তাহলে তাকে অনলাইনে আবেদন করে নতুন ভ্যাট নিবন্ধন করতে হবে। কারণ ৩০ নভেম্বরের পরে পুরনো নিবন্ধন দিয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালানো যাবে না।

এনবিআরের জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা বলেন, সনাতনী ভ্যাট ব্যবস্থায় সাড়ে ৮ লাখ বিআইএন গ্রহণকারী ব্যবসায়িক সত্তা থাকলেও প্রতি মাসে মাত্র ৩৬ হাজার করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন। ফলে অনেক অস্তিত্বহীন নিবন্ধিত করদাতা যেমন রয়েছেন, তেমনি ব্যবসায়িক কার্যক্রম চলমান থাকা সত্ত্বেও অনেক করদাতা নিয়মিত দাখিলপত্র প্রদান করেন না বা করজালের বাইরে অবস্থান করছেন। মূলত সার্বিকভাবে এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ এবং নিবন্ধন গ্রহণের প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ, দ্রুততর ও হয়রানিমুক্ত করার লক্ষ্যে অনলাইন নিবন্ধন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু আমরা ইতোমধ্যে অনলাইন অবকাঠামো তৈরি করেছি সেহেতু রিটার্ন দাখিলসহ আরও কিছু কার্যক্রম অনলাইনে পরিচালনা করা যাবে। এছাড়া ই-বিআইএন বাধ্যতামূলক হওয়ায় দেশে মোট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা নিরূপণ করাও সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য, ১ জুলাই থেকে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২’ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। এই নতুন আইনের প্রয়োগ পদ্ধতি সম্পূর্ণই অনলাইনভিত্তিক।

অনলাইনে সেবা নেওয়ার জন্য ভ্যাট নিবন্ধন বা ই-বিআইএন নেওয়ার বিষয়টি অনেকটা অনলাইনে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ই-টিআইএনের মতো।

ওডি/এওয়াইআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড