• মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

পেঁয়াজের বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে আমদানিকারকদের তথ্য নিয়ে মাঠে গোয়েন্দা

  অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক

২৭ নভেম্বর ২০১৯, ১৬:০৮
পেঁয়াজ
ছবি : পেঁয়াজ

সম্প্রতি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য ২৫০ টাকা বা এর চেয়েও বেশি হওয়ায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিরেক্টরেটস (সিআইআইডি) পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির কারণ খুঁজতে ৩৩২ জন পেঁয়াজ আমদানিকারকের বিষদ তথ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড জানিয়েছে, গত ৩ মাসে দেশে ১ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও এর মূল্য বেড়েই চলেছে। তাই সরকার এনবিআরকে আমদানির তথ্য ও বাজার সরবরাহের তথ্যগুলো তদন্ত করে মূল্য বৃদ্ধির কারণ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ প্রদান করেছে।

এনবিআরের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশে বাংলাবান্দা, বেনাপোল, ভোমরা, হিলি, সোনা মসজিদ, টেকনাফ, চট্টগ্রাম ও ঢাকা কাস্টম হাউজ হয়ে ১ লাখ ৬৭ হাজার ৮০৬ দশমিক ৪৭ মেট্রিক টন পেঁয়াজ প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে যারা চলতি বছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর মাসে ১ হাজার মেট্রিক টনের বেশি পেঁয়াজ আমদানি করেছেন তাদেরকে তলব করা হয়েছে। গত ২ দিনে মোট ৪৭ জন পেঁয়াজ আমদানিকারককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

এনবিআরের তথ্যানুসারে, বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির লক্ষ্যে আমদানিকৃত পেঁয়াজ অবৈধভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর সঙ্গে পেঁয়াজ আমদানির নামে অর্থ পাচারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। আমদানিকারকদের মধ্যে যারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অন্যদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে ২৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজের চাহিদার বিপরীতে ২৩ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। কিন্তু যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে উৎপাদিত পেঁয়াজের ৩০-৩৫ শতাংশ পঁচে যায়। এ কারণেই চাহিদা মেটাতে ৮-১০ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

ওডি/এওয়াইআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড