অর্থ-বাণিজ্য ডেস্ক
ক্রেডিট কার্ড হলো একটি বিশেষ ধরনের পরিশোধ ব্যবস্থার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক চিপ বিশিষ্ট প্লাস্টিক কার্ড যা সাধারণত স্থানীয় ব্যাংক অথবা ক্রেডিট ইউনিয়ন ভোক্তারা ব্যবহার করতে পারেন। এটিকে আধুনিক বিশ্বে ‘প্লাস্টিক মানি’ বলা হয়।
একজন গ্রাহকের কাছে নগদ টাকা না থাকলেও একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ খরচ বা উত্তোলন করতে পারাই এই কার্ডের বৈশিষ্ট্য। যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা গ্রাহক উত্তোলন বা ব্যবহার করতে পারবেন তা হচ্ছে ‘ক্রেডিট লিমিট’। আবার নির্দিষ্ট সময় পর কিন্তু খরচ করা টাকা পরিশোধও করতে হবে।
আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, দেশে এ বছরের জুন মাসে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি লেনদেন হয়েছে। কিন্তু একজন গ্রাহক ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত টাকা পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবে সেটা কি আপনার জানা আছে? এই ক্রেডিট লিমিট সাধারণত ব্যাংকভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে কত টাকা পর্যন্ত খরচ বা উত্তোলন করা যাবে, সেটি সাধারণত গ্রাহকের মাসিক আয়ের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো হিসাব করে।
এনআরবি ব্যাংকের কার্ড ডিভিশনের প্রধান মীর শফিকুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আগামী এক দশকে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার ব্যাপক প্রসার হবে। একজন গ্রাহক ইচ্ছা করলে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য থেকে শুরু করে বাড়ির ইউটিলিটি বিল, ইন্টারনেট বিল এমনকি ড্রাইভারের বেতনও ক্রেডিট কার্ড দিয়ে পরিশোধ করতে পারবেন। এছাড়া প্রয়োজন হলে নগদ অর্থও ওঠানো যাবে।
গত ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের নিয়মকে আরও কড়াকড়ি করেছে। এর পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক উবারের বিল পরিশোধে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। অনলাইনে জুয়া খেলা, বৈদেশিক লেনদেন, ক্রিপ্টো কারেন্সি, লটারির টিকিট কেনা কিংবা বিদেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কেনাবেচাতেও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করা যাবে না। ফলে সংশ্লিষ্টরা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বিদেশি প্রতিষ্ঠানে অর্থ পরিশোধে ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহক ঘরে বসেই ই-কমার্সের মাধ্যমে যে কোনো লাইফস্টাইল পণ্য, সিনেমার টিকিট, খাবার, বাস রেলওয়ের টিকিট কিনতে পারবেন। এখন তো বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকরা বিভিন্ন মার্চেন্ট আউটলেটে লাইফস্টাইল, হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফার্নিচার, ইলেকট্রনিকস ইত্যাদি কেনাকাটায় নানা ছাড় পেয়ে থাকেন। এছাড়া আউটলেটগুলো ৩ থেকে ২৪ মাস পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে শূন্য শতাংশ সুদ কিস্তিতে মূল্য পরিশোধের সুযোগও দিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত কোনো সুদ ছাড়া অর্থ পরিশোধের সুযোগ থাকছে।
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে কিছু সুবিধা ও অসুবিধাও রয়েছে। সুবিধাগুলো হচ্ছে—দ্রুত লেনদেন, পুরস্কার পয়েন্ট, নগদ অর্থ বহনের ঝুঁকি থেকে মুক্তি, অধিকতর নিরাপদ এবং অসুবিধাগুলো হচ্ছে—ঋণের ফাঁদে পড়ার ঝুঁকি, লুকায়িত ব্যয় ও ভুল কার্ডে ঋণের বোঝা বাড়ার আশঙ্কা।
ওডি/এওয়াইআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড