আড়াই হাজার কোটি টাকার অধিক আয়কর আদায়

এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াসহ অন্যরা রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বৃহত্তর আয়কর ইউনিটের (এলটিইউ) আয়করের আওতাধীন ২১টি প্রতিষ্ঠানের পে অর্ডার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠিত আয়কর মেলার ৬ লাখ ৫৫ হাজার ৯৫ জন করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। গত বছরের আয়কর মেলায় কর আদায় হয়েছিল ২৪৬৮ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার ৮৯৫ টাকা, যা এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬১৩ কোটি ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬৬৮ টাকায়।

গত বুধবার (২০ নভেম্বর) ছিল আয়কর মেলার শেষ দিন। এ দিনে ১ লাখ ১৫ হাজার ১৮৫টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে এবং ২১টি প্রতিষ্ঠানের ২৯৩ কোটি টাকাসহ মোট ৫৯৭ কোটি ১ লাখ ৬৪ হাজার ৫৪৮ টাকা সংগৃহীত হয়েছে।

মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধ ছিল এবারের মেলার প্রধান আকর্ষণ। এছাড়া ই-পেমেন্টের মাধ্যমে করদাতারা রকেট, নগদ, বিকাশ, ইউপে শিওর ক্যাশ, ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে তাঁদের আয়কর জমা দিতে পেরেছেন এবং ই-পেমেন্টের মাধ্যমে ৬ হাজার ৪২০ জন সেবা গ্রহণকারী মোট ৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা প্রদান করেছে।

বৃহত্তর করদাতা ইউনিটের ২১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংক ৫০ কোটি টাকা, ট্রাস্ট ব্যাংক ২৫ কোটি টাকা, ঢাকা ব্যাংক ১৫ কোটি টাকা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ২০ কোটি টাকা এবং সিটি ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক ২০ কোটি টাকা কর প্রদান করেছে।

অন্যদিকে সাধারণ বীমা করপোরেশন ১০ কোটি টাকা, বেক্সিমকো লিমিটেড ২ কোটি টাকা, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ১ কোটি টাকা দিয়েছে এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, পূবালী ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক, ব্র্যাক ব্যাংকসহ মোট ৯টি ব্যাংক ১০ কোটি টাকা প্রদান করেছে।

কর প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এনবিআরের ডাকে সাড়া দিয়ে করের একটি অংশ জমা দেওয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ। দেশের উন্নয়নে বেশির ভাগই অভ্যন্তরীণ সম্পদ ব্যবহৃত হয়। এটা ধরে রাখতে আমাদের কর জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে রাখতে হবে। বর্তমানে আমাদের কর জিডিপি ১০-১১ শতাংশ, যা ২০২৫ সালে ১৫ শতাংশ এবং ২০৩০ সালে ২০ শতাংশে পৌঁছাতে হবে। এ জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন।

ওডি/এওয়াইআর