• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এবার বেলজিয়াম থেকে আসছে পেঁয়াজ

  অধিকার ডেস্ক

১৮ নভেম্বর ২০১৯, ০২:৪৩
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ (ছবি : সংগৃহীত)

তুরস্ক, মিশর আমিরাত ও চীনের পর এবার বেলজিয়াম থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। ইউরোপের দেশ বেলজিয়াম থেকে ১ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য চট্টগ্রামের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর থেকে রবিবার (১৭ নভেম্বর) আমদানি অনুমতি পত্র নিয়েছে এক আমদানিকারক। তবে বেলজিয়াম থেকে সমুদ্রপথে এই পেঁয়াজের চালান চট্টগ্রাম পৌঁছাতে একমাস সময় লাগবে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর প্রথমে মিয়ানমার থেকে টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। পাশাপাশি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়েও মিয়ানমার থেকে কন্টেইনারে করে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। এরপর অক্টোবরের মিশর ও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পেঁয়াজ এসেছে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। পেঁয়াজ আনা হয়েছে তুরস্ক, পাকিস্তান ও চীন থেকে। এরপর আমদানির অনুমতিপত্র নেওয়া হয় উজবেকিস্তান থেকে। এবার আমদানির জন্য অনুমতি নেওয়া হলো বেলজিয়াম থেকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের উপ পরিচালক ড. আসাদুজ্জামান বুলবুল বলেন, রবিবার একদিনেই ৪ হাজার ৩৬৫ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। এরমধ্যে এক হাজার টনের একটি অনুমতি নেয় ঢাকার প্রতিষ্ঠান ওয়াসিফ ট্রেডিং।

তিনি বলছেন, ভারতের রপ্তানি বন্ধের পর নতুন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। এরমধ্যে বেলজিয়াম ও উজবেকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানির উদ্যোগ দেশে প্রথম।

ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়াসিফ ট্রেডিংয়ের পণ্যছাড়ের প্রক্রিয়ার জন্য সিঅ্যান্ডএফ হিসেবে কাজ করছেন চট্টগ্রামের এস হোসেন এন্ড কম্পানির আশিষ নাথ।

তিনি বলেন, ইউরোপ থেকে প্রথমে দুবাই বা সিঙ্গাপুর বন্দর আসবে, এরপর চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত কন্টেইনারভর্তি পেঁয়াজের চালানটি পৌঁছতে সময় লাগবে একমাস। চীনের চেয়েও কমদাম পেয়েই আমদানিকারক বেলজিয়াম থেকে পেঁয়াজের বুকিং দিয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আমদানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে।

চট্টগ্রাম উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তরের হিসাবে, ভারত রপ্তানি বন্ধের পর গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রবিবার (১৭ নভেম্বর) পর্যন্ত পেঁয়াজ আনতে চট্টগ্রাম দপ্তর থেকে আমদানি অনুমতিপত্র (আইপি) নেওয়া হয়েছে ৭৮ হাজার ৯৪২ টনের। আর ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে রবিবার পর্যন্ত বন্দর থেকে ছাড় করা হয়েছে ৬ হাজার ৫৫৮ টন। রবিবার একদিনেই ছাড় হয়েছে ৪১৩ টন।

এই আমদানির পাশাপাশি টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়েও মিয়ানমার থেকে ৩৫ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে দেশে। আদা-রসুন জাতীয় পণ্য ২০ বছর ধরে আমদানি করেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ফরহাদ ট্রেডিংয়ের মালিক নুর হোসেন।

তিনি বলেন, ভারত থেকে অন্তত আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানির নিষেধাজ্ঞা দিলেই দেশের বাজারে পেঁয়াজে সয়লাব হবে। তখন কোনো আতঙ্ক থাকবে না। এরপর ব্যবসায়ীরা নিজের উদ্যোগেই বিভিন্ন দেশ খুঁজে পেঁয়াজ আমদানি করবেন। কিন্তু সেই নিশ্চয়তা আগে দরকার।

ওডি/ এফইউ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড