• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অহেতুক কেনো ডেক্সামেথাসনের পিছু ছুটছেন?

  অধিকার ডেস্ক

১৯ জুন ২০২০, ১৭:৪৫
ডেক্সামেথাসন
ডেক্সামেথাসন

আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিনের পর এবার ডেক্সামেথাসনের পেছনে ছুটছে মানুষ। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চিকিৎসায় ওষুধটির পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশার খবরে এই কাণ্ড শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এই গ্রুপের ওষুধ ও ইনজেকশন কেনার হিড়িক পড়েছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, এটি কেবলমাত্র যেসব রোগীর আইসিইউ বা ভেন্টিলেশনের দরকার হয়, তাদের চিকিৎসায় পরীক্ষামূলক ব্যবহার করা হচ্ছে। তা অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী। এটি যারা ঘরে বসে করোনার চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের সেবন করা মোটেও ঠিক হবে না।

চিকিৎসকদের পরামর্শপত্র ছাড়া ফার্মেসিগুলো কী করে এসব ওষুধ মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই ওষুধের অযথা ব্যবহার মৃত্যু ডেকে আনতে পারে জীবনে। তারা বলছেন, অহেতুক ডেক্সামেথাসন কিনে লাভ কী? যখন প্রয়োজন হবে চিকিৎসকই বলবেন। এখন এভাবে কিনে বাসায় জমিয়ে রাখলে ওষুধটির সংকট তৈরি হতে পারে। দাম বাড়তে পারে। এতে দেখা যাবে যে রোগীর প্রয়োজন তিনিই শেষে ওষুধ পাচ্ছেন না।

করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার না হলেও এর সম্ভব্য ওষুধ হিসেবে একেকবার একেকটি ওষুধের কথা বলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সর্বশেষ ডেক্সামেথাসন ওষুধকে পরীক্ষামূলক ওষুধ হিসেবে ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তদের ওপর এই ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু হয়েছে।

ওষুধের নামটি গণমাধ্যমে আসার পর বাংলাদেশে হঠাৎই বেড়ে গেছে ওষুধটির বিক্রি। কয়েকদিন পর বাজারে ওষুষটি নাও পাওয়া যেতে পারে, এমন শঙ্কা থেকে ওষুধ কিনে রাখছেন অনেকেই।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার তথ্য বলছে, সংবেদনশীল এ ওষুধ কিনতে যারাই ফার্মেসিতে ভিড় করছেন, তাদের কারো কাছেই নেই চিকিৎসকের পরামর্শপত্র বা প্রেসক্রিপশন। অতি উৎসাহী হয়ে তারা ওষুধটি কিনে রাখছেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেক্সামেথাসন সাধারণ কোনো ওষুধ নয়। এটি নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা রোগিদের জন্য অত্যন্ত সংবেদনশীল একটি ওষুধ।

জাতীয় গাইডলাইন প্রণয়ন কমিটির সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক রোবেদ আমিন বলেন, ‘যত্রতত্র ব্যবহার করায় এর রিঅ্যাকশন ভয়াবহ হতে পারে। ডেক্সামেথাসন করোনা চিকিৎসার কোনো ওষুধ না। এটা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না নিলে ভয়ঙ্কর হতে পারে। এটা কোনো সহজ ওষুধ নয়।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, ‘ডায়াবেটিক বা গ্যাস্ট্রিক রোগীদের ক্ষেত্রে এ ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় পেট ফুটো বা ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। যা রোগীর মৃত্যু ঘটাতে পারে।’

ওষুধ প্রশাসনের পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, অ্যান্টিবায়োটিক, স্টেরয়েড কোনো ওষুধই প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি করা যায় না। এখন আরও কঠোর হয়ে গেছে।

এদিকে এর আগেও করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা হতে পারে এমন ওষুধ ও অন্যান্য জিনিসের নাম জানার পরপরই তা কেনার হিড়িক দেখা গেছে। ভিটামিন সি জাতীয় ওষুধ, জিংক, প্যারাসিটামল, স্ক্যাবো জাতীয় ওষুধ এখন সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে স্যাভলন বাজারে মিলছে না অনেক দিন ধরেই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড