সারাদেশ ডেস্ক
মরণব্যাধি করোনাভাইরাসে মৃত রোগীকে সাধারণত নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত দাফন করা হয়। আত্মীয় স্বজন অনেকের মৃত ব্যক্তিকে দেখার সুযোগ হয় না। তবে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে মৃত এক ব্যক্তির সাত বছর বয়সী সন্তান শেষ দেখার সুযোগ পেল বাবাকে।
সুযোগ করে দিয়েছেন হাসপাতালের এক চিকিৎসক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেষ দেখার সেই ভিডিও প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া। ভিডিওর ক্যাপশনে ঘটনা জানিয়েছেন চিকিৎসক। বেদনাবিধুর বাস্তবতা ফুটে উঠেছে ভিডিওতে।
চিকিৎসকের স্ট্যাটাসটি তুলে দেয়া হলো-
'চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে বেদনাবিধুর বাস্তবতা -
সন্তানের শেষ আদর বাবাকে -----
গত ২০ মে ২০২০- ৪০ বছরের রোগী জীবনের শেষ মুহূর্তে চিকিৎসা নিতে এসেছিল আমাদের চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালে। রোগীকে প্রথম দেখায় বুঝতে পেরেছিলাম জীবনের সময় বেশি নেই। তবু চেষ্টা করেছিলাম আমাদের সামর্থ্য নিয়ে রোগীকে বাঁচাতে। রোগীর অভিভাবকও বুঝতে পেরেছিল রোগীর পরিণতি। করোনা টেস্ট হয়নি কিন্তু সকল লক্ষণ করোনাভাইরাস জনিত। অবশেষে মারাও গেলেন ১৩.৩০ ঘণ্টা পর। রোগীর অভিভাবক হিসেবে সাথে ছিলেন তার স্ত্রী। স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করতেই বললো তাদের ৭ বছরের সন্তান আছে। সাধারণত করোনাজনিত লক্ষণে মারা গেলে সিভিল সার্জন অফিসে জানাতে হয়। পরে সিভিল সার্জন নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় দ্রুত দাফন করা হয়। কিন্তু আত্মীয়স্বজন কেউ মৃত ব্যক্তিকে দেখার সুযোগ হয় না। আমি মৃত রোগীর অভিভাবক স্ত্রীকে বললাম আপনাদের সন্তানকে তার বাবাকে দেখবে না? উত্তরে বললো বাসায় কেউ নাই আর কিভাবে আসবে। পরে সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষ নিয়ে গেলে সন্তান বাবাকে দেখতে পারবে না। আমি বললাম আপনি বাসায় গিয়ে আপনাদের সন্তানকে নিয়ে আসেন আমাদের হাসপাতালের গাড়ি নিয়ে। তাই হলো মা সন্তানকে আমাদের গাড়িতে করে নিয়ে আসলো। সন্তান বাবাকে তার শেষ স্পর্শ আদর দেওয়ার মুহূর্ত- (তাদের সন্তান এর সাথে আলাপে তার বাবা সন্তানের অনেক কিছু জানা হলো - কষ্ট হলো অনেক ৭ বছরের সন্তান তার বাবা কে হারালো)'
ওডি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড