আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত মহামারী নভেল করোনভাইরাসে প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা; বাড়ছে সংক্রমণও। সচেতনতা হয়তো নতুন করে আক্রান্তের ঝুঁকি কিছুটা কমিয়ে আনতে পারে; তবে যাদের মধ্যে এই ভাইরাসের সংক্রমণ এরই ছড়িয়েছে, তারা? এসব কিছুর হিসেব কষার পরই এখন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে আক্রান্ত দেশগুলোকে।
করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ২১ দিনের জন্য লকডাউন করা হয়েছে ভারতেক। ঘরের বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে জনসাধারণকে। তবে এর বাইরে স্বাস্থ্যখাতে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির সরকার। করোনা মোকাবিলায় ঠিক কোন পথে এগোচ্ছে ভারত; তারই একটি ছক দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
আরও পড়ুন : গুজবে সরকারের হুঁশিয়ারি
১. সবকয়টি রাজ্যকে করোনার চিকিৎসার জন্য পৃথক হাসপাতালের ব্যববস্থার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে যেন রোগী ভর্তির সংখ্যাও বাড়ানো যায় সে ব্যবস্থাও করতে হবে তাদের। এরই মধ্যে ১৭টি রাজ্যে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
২. করোনার চিকিৎসায় ২৮টি হাসপাতাল প্রস্তুত করেছে সশস্ত্র বাহিনী। অন্য হাসপাতালগুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে তারা। করোনার টেস্ট থেকে সব ধরনের সেবাই মিলবে এখানে।
৩. কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে একত্র করে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সরঞ্জাম, মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে।
৪. করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তায় হাসপাতাল, চিকিৎসার সামগ্রী এবং কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থায় সেনাবাহিনী ও ডিভিশনাল কমান্ডারদের বিশেষ অর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
৫.ট্রেনে করোনার রোগীদের আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
৬. প্রতিটা রাজ্যে হাসপাতালগুলোতে কিছু বেড সরংক্ষণ করে আ্ইসোলেশনের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয সরকার। যারা চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন তাদের যতদ্রুত সম্ভব ছেড়ে যাওয়া যায় সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
৭. রোগীদের জন্য প্রয়োজনীয় ভেন্টিলেটর ও অক্সিজেন মাস্ক তৈরির জন্য হাসপাতাল ও চিকিৎসাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৮. করোনা পরিস্থিতিতে একটি যৌথ দল গঠন করেছে অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স (এআইআইএমএস) হাসপাতাল। এর মাধ্যমে যে কোনও অবস্থায় আসন্ন দিনের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
৯. অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ সার্জারি বন্ধ রাখতে হাসপাতালগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১০. বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে যেকোনও পরিস্থিতিতে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রথম করোনার অস্তিত্ব ধরা পড়ে; এরপর তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বিশ্বের ৬ লাখ ২১ হাজারের বেশি মানুষ; মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ হাজার ৬৬৩ জনে। ভারতের আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৯৩৩; মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড