আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দীর্ঘ এক মাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে নিউজিল্যান্ড।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজ জানিয়েছ, প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বুধবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে ওই জরুরি অবস্থা জারি করেন। এই সময়ের মধ্যে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অফিস-আদালত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে।
মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) পার্লামেন্টে এক জরুরি ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা বলেন, আজ মধ্যরাত থেকে করোনা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে আগামী চার সপ্তাহের জন্য আমরা আত্মগোপনে চলে যাব।
তিনি সবাইকে সতর্ক করে বলেন, পরিস্থিতি ভালো হওয়ার আগে কেউ কোনো ভুল করবেন না। নয়তো পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিউজিল্যান্ডে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের হানায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও ২০৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করছে সরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৪ লাখ ২৩ হাজারের অধিক মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৯ হাজার ১৫২ জনে পৌঁছেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
আরও পড়ুন : যেভাবে করোনা মোকাবিলায় সফল চীন-কোরিয়া-সিঙ্গাপুর
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ওডি/কেএইচআর