• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

করোনায় দুজনকে শনাক্তের পর লকডাউনে নেপাল

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৪ মার্চ ২০২০, ১৪:৫৪
করোনায় দুজনকে শনাক্তের পর লকডাউনে নেপাল
নেপালের জনশূন্য রাজপথ (ছবি : এনডিটিভি)

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১৬ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি এবার থাবা বসিয়েছে চীনের সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র নেপালে। মূলত এরপর থেকেই লকডাউনে চলে গেছে গোটা দেশ।

কর্তৃপক্ষের বরাতে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, করোনা আতঙ্ক শুরুর প্রায় আড়াই মাস পর সোমবার (২৩ মার্চ) দেশটিতে ভাইরাসে আক্রান্ত দুইজন রোগীকে শনাক্ত করা হয়। মূলত এর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করে নেপাল সরকার।

বিবৃতির মাধ্যমে জানানো হয়, মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত নেপালজুড়ে লকডাউন থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কাউকে সড়কে না আসতে বলা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭৯ হাজারের অধিক মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৬ হাজার ৫২৪ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মহাবিপদের সামনে ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর