আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১৬ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবা থেকে সংঘাত কবলিত অঞ্চলের বেসামরিক মানুষকে রক্ষায় অবিলম্বে বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, সোমবার (২৩ মার্চ) নিউ ইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে এক সংক্ষিপ্ত ভাষণের মাধ্যমে তিনি আহ্বানটি জানান। গুতেরেস বলেছিলেন, এখন সশস্ত্র সংঘাতকে লকডাউনে পাঠানো এবং সকলের জীবন রক্ষায় সত্যিকার লড়াইয়ে মনোনিবেশের সময় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, আপনারা সকলে বন্দুকের গর্জন থামান, বোমা বর্ষণ ও বিমান হামলা বন্ধ করুন। আর তা হলেই কেবল জীবন রক্ষাকারী ত্রাণ পাঠানোর পথ সুগম হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭৯ হাজারের অধিক মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৬ হাজার ৫২৪ জনে পৌঁছেছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত দশ বছর যাবত গৃহযুদ্ধ কবলিত রাষ্ট্র সিরিয়ায় প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থাবা বসিয়েছে। তাছাড়া ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো এবং আফগানিস্তানেও মারাত্মক রকমের এই ছোঁয়াচে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও কূটনীতিকদের আশঙ্কা, সংঘাত কবলিত রাষ্ট্রগুলোর ভঙ্গুর স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কারণে ভাইরাসটি সামনে আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।
আরও পড়ুন : মহাবিপদের সামনে ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ওডি/কেএইচআর