করোনা আতঙ্কে সৌদিতে কারফিউ জারি

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী সাড়ে ১৪ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবা থেকে বাঁচতে অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম অধ্যুষিত রাষ্ট্র সৌদি আরবেও কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন।

সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট জানিয়েছে, রবিবার (২২ মার্চ) দিবাগত রাতে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ এক ঘোষণার মাধ্যমে দেশজুড়ে আগামী দেশটিতে ২১ দিনের জন্য কারফিউ জারি করেছেন।

রাজকীয় সেই ঘোষণায় বলা হয়, সোমবার (২৩ মার্চ) দিবাগত সন্ধ্যা ৭টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত এই কারফিউ বলবৎ থাকবে। যা আগামী ২১ দিন একটানা কার্যকর হবে। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে এর সময়সীমা পরিবর্তন করা হতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে বাধ্য হয়ে দেশটিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলো। কারফিউ চলাকালীন বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সর্বসাধারণ বাড়ির বাহিরে আসতে পারবেন না।

সৌদির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে মহামারি ভাইরাসটির থাবায় এখনো কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১১ জন। এমন প্রেক্ষাপটে দেশজুড়ে কারফিউ জারির ঘোষণা দিলেন বাদশাহ সালমান।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৯২টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৪ হাজার ৬৪৭ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : যে কারণে ইরান ইস্যুতে দুর্বল যুক্তরাষ্ট্র!

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর