• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

বুরকিনা ফাসোতে করোনার থাবা, ৪ মন্ত্রী আক্রান্ত

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২২ মার্চ ২০২০, ১৫:০২
বুরকিনা ফাসোতে করোনার থাবা, ৪ মন্ত্রী আক্রান্ত
বুরকিনা ফাসোতে করোনা ভাইরাস (ছবি : আফ্রিকান টাইমস)

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী ১৩ হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি থাবা বসিয়েছে আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফাসোতে। দেশটির মন্ত্রিসভার চার সদস্য এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

শনিবার (২১ মার্চ) দেশটির সরকারের এক মুখপাত্রের বরাতে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বুরকিনা ফাসোতে নতুন করে ২৪ জনের শরীরে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৬৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, বুরকিনা ফাসো আফ্রিকার একটি অনুন্নত দেশ। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দেশটি করোনা সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

সরকারি এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, দেশের পররাষ্ট্র, শিক্ষা, খনিজ, এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলফা ব্যারি এরই মধ্যে টুইট বার্তায় দাবি করেছেন, গুজব অবশেষে সত্যি হয়েছে। এইমাত্র জানতে পেরেছি যে, আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ।

বুরকিনা ফাসোর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনার থাবায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি না ঘটলেও এরই মধ্যে ৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এমন প্রেক্ষাপটে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির কথা ভাবছে সেখানকার সরকার।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ৩ লাখ ৭ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১৩ হাজার ৫০ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মহাবিপদের সামনে ভারত, ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর