• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশির মৃত্যু

  ইসমাইল হোসেন স্বপন, ইতালি প্রতিনিধি

২১ মার্চ ২০২০, ০৪:৫৮
ইতালিতে করোনায় আক্রান্ত বাংলাদেশির মৃত্যু
সদ্য প্রাণ হারানো বাংলাদেশি গোলাম মাওলা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) বিশ্বব্যাপী এগারো হাজারের অধিক লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির থাবায় ইউরোপের দেশ ইতালিতে এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় মিলানের নিগোয়ারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি মারা যান।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ১৫ দিন আগে অসুস্থ হয়ে শহরটির নিগোয়ারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন গোলাম মাওলা নামে ওই ব্যক্তি। সেখানে তার শরীরে প্রাণঘাতী করোনা ধরা পড়ে। পরবর্তীকালে ভাইরাসটির সঙ্গে লড়াই করে হাসপাতালেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

জানা গেছে, এরই মধ্যে তার স্ত্রীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যে কারণে পুরো পরিবারটিকে ইতালিতে হোম কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছে। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। সদ্য প্রাণ হারানো সেই ব্যক্তির গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। তিনি ইতালির বাণিজ্যিক শহর মিলানে বসবাস করতেন।

এ দিকে ইতালির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে আরও ৬২৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এখন পর্যন্ত এটাই যে কোনো দেশের জন্য একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে ইউরোপের দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ৪ হাজার ৩২ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ মৃত্যুর তালিকায় করোনার উৎস চীনকেও ছাড়িয়ে গেছে দেশটি। তাছাড়া ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৪৭ হাজার ২১ জন ছাড়িয়েছে।

অপরদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৮৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ১১ হাজার ৩১৩ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মায়ের সঙ্গে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে করোনা আক্রান্ত সন্তান (ভিডিও)!

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর