• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

মালয়েশিয়ায় ঘরে থাকছে না জনগণ, সড়কে পুলিশ মোতায়েন

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১৯ মার্চ ২০২০, ১৫:০৮
মালয়েশিয়ায় ঘরে থাকছে না জনগণ, সড়কে পুলিশ মোতায়েন
মালয়েশিয়ার সড়কে জনগণ (ছবি : ইনসাইডার)

মহামারি করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) গোটা বিশ্বে প্রায় নয় হাজার লোকের প্রাণহানি ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রাণঘাতী ভাইরাসটির আতঙ্কে মালয়েশিয়ায় এরই মধ্যে লকডাউন (ঘরে অবরুদ্ধ) কার্যকরের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যদিও গত বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমটি যথাযথভাবে পালন করছেন না প্রায় অর্ধেকের মতো লোক।

সংবাদমাধ্যম মালয় টাইমস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দেশটির মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্য ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বিবৃতির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কেবল মাত্র দেশের ৬০ শতাংশ মানুষ মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) মেনে চলছেন।

ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব বলেছেন, অধিকাংশ জনগণ সরকারি নির্দেশনা না মানায় পুলিশ সড়ক অবরোধ করে পরিস্থিতি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এখন পর্যন্ত দেশজুড়ে পাঁচ শতাধিক সড়ক অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রথম দিনের মতো পুলিশ এখনো উপদেশমূলক অবস্থানেই রয়েছে। সড়কে এখন পর্যন্ত ৬ হাজারের অধিক যানবাহনকে আটক করে করোনা পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। কার্যক্রমটি সামনে আরও বড় পরিসরে করা হবে।

মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণঘাতী করোনার থাবায় দুইজনের প্রাণহানিসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৯০ জনে দাঁড়িয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, উৎপত্তিস্থল চীনের সীমা অতিক্রম করে এর মধ্যে বিশ্বের অন্তত ১৭৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ লাখ ১৯ হাজার মানুষ। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যাও এরই মধ্যে ৮ হাজার ৯৬৭ জনে পৌঁছেছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাস মানুষ ও প্রাণীদের ফুসফুসে সংক্রমণ করতে পারে। ভাইরাসজনিত ঠান্ডা বা ফ্লুর মতো হাঁচি-কাশির মাধ্যমে মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার প্রধান লক্ষণগুলো হলো- শ্বাসকষ্ট, জ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া ইত্যাদি। তাছাড়া শরীরের এক বা একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিষ্ক্রিয় হয়ে আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হতে পারে।

আরও পড়ুন : মায়ের সঙ্গে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে করোনা আক্রান্ত সন্তান!

বর্তমানে সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো ভাইরাসটি নতুন হওয়ায় এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। ভাইরাসটির সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় সংক্রমিত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকা। তাই মানুষের শরীরে এমন উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ওডি/কেএইচআর