আন্তর্জাতিক ডেস্ক
তেহরানের ইমাম খোমেনি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি দুটি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়। নতুন একটি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণের মাধ্যমে চাঞ্চল্যকর এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’।
প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার পর বিমানটি আগুন নিয়েই কয়েক মিনিট আকাশে উড়েছিল। পরে সেটি মাটিতে বিধ্বস্ত হয়। তখন প্রায় ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে বিমানটিতে দুটি মিসাইল আঘাত হানে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরই বিমানটির ট্রান্সপন্ডার পুরোপুরি বিকল হয়ে যায়।
এর আগে ৩ জানুয়ারি ভোরে ইরাকের বাগদাদ শহরের বিমানবন্দরে মার্কিন বিমান হামলায় ইরানি জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে চালানো সেই অভিযানে তেহরান সমর্থিত পপুলার মবিলাইজেশন ফোর্সেসের (পিএমএফ) উপপ্রধান আবু মাহদি আল-মুহান্দিসসহ বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য প্রাণ হারান।
সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর (পেন্টাগন) জানায়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে হামলাটি চালানো হয়। অপর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কঠোর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।
অবশেষে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ভোরে দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে সেই হামলা চালায় তারা। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানায়, এবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৮০ জন মার্কিন সেনা নিহত ও দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছে। সে দিনই তেহরানে ইউক্রেনের 'বোয়িং-৭৩৭' বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে থাকা ১৭৬ জনের প্রত্যেকেই মারা যান।
আরও পড়ুন : ফের মার্কিন সেনা অবস্থানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড