নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামি মেফতাহুল ইসলাম জিওন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের সময় ফাহাদকে কিল-ঘুষি মারি ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে হাঁটুতে পেটাই।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন জিওন। জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) জবানবন্দি দেন ইফতি মোশাররফ সকাল।
জবানবন্দীতে জিওন বলেন, বুয়েট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদি হাসান রবিনের আদেশে ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাত ৮টার দিকে শেরেবাংলা হলের ২০১১ নম্বর রুমে ডেকে আনেন কয়েকজন।
কক্ষটি ছিল ইফতি, মোস্তফা ও তানভিরের। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ফাহাদকে শিবির শনাক্ত করা। প্রথমে ফাহাদ নাম গুলো বলছিল না। পরে তার রুম থেকে দুইটি মুঠোফোন ও তার ল্যাপটপ নিয়ে আসা হয়। ওই সময় তিনি ও মেহেদি হাসান রবিন ওই কক্ষে যান। কারা শিবিরের সঙ্গে জড়িত জানতে তারা ফাহাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। এরপরও মুখ খোলেনি ফাহাদ। এক পর্যায়ে সামসুল আরেফিন ক্রিকেট স্ট্যাম্প নিয়ে আসেন। তিনি ও মেহেদি হাসান চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করেন। পরে ইফতি স্ট্যাম্প দিয়ে পেটাতে শুরু করেন। তিনি অনেকগুলো বাড়ি মারেন। এ সময় অনিক সরকার স্ট্যাম্প দিয়ে ফাহাদকে বেধড়ক মারতে থাকেন। পায়ের পাতা , হাঁটু ও হাতেও মারেন।
জিওন বলেন, আমিও কিছু কিল-ঘুষি মারি। পরে স্ট্যাম্প দিয়ে হাঁটুতে পেটাই। এরপর ধাপে ধাপে অন্যরা ভেতরে এসে তাকে মারধর করে। এক পর্যায়ে ফাহাদ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কয়েকবার বমিও করে। এরপর কোলে করে সিঁড়ি ঘরের পাশে নিয়ে যাই। তারপর পুলিশ ও চিকিৎসকদের খবর দেওয়া হয়। এরপর চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওডি/এএসএল
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড