নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে বিশ্ববিদ্যালয়টির শেরে বাংলা হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে তাকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন চালায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। নির্যাতনের এক পর্যায়ে নিহত হন আবরার ফাহাদ।
টর্চার সেল হিসেবে ইতোমধ্যেই পরিচিতি পাওয়া শেরে বাংলা হলের ২০১১ রুমে ফাহাদের ওপর প্রথম আঘাত করে তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার। ফাহাদকে জেরার এক পর্যায় তার মোবাইল কেড়ে নিয়ে হকি স্টিক দিয়ে পেটাতে শুরু করে অনিক।
অনিকের সঙ্গে এরপর যোগ দেয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন। সেও আরেকটি হকি স্টিক নিয়ে ফাহাদকে পেটানোতে অংশ নেন। আর ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন ফাহাদের হাত ধরে রাখে। অন্য দিকে ফাহাদের পায়ে পেটাতে শুরু করে উপ সমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল। এরপর সদস্য মুনতাসির আল জেমি, মো. মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর, একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ইশতিয়াক মুন্নাও অংশ নেয় এই নির্মম নির্যাতনে। এ ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয় ২২ জন।
এ সময় টর্চার সেলে প্রবেশ করেন বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ও সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ। এ দুইজনও কালক্ষেপণ না করে ফাহাদকে পেটানো শুরু করেন। ফাহাদ একটু কাঁদতেও পারেননি। কারণ তখন তার মুখ চেপে ধরা হয়েছিল। এভাবেই ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন ফাহাদ। গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্যাতনের এমন ভয়ঙ্কর তথ্য দিয়েছে তারা। তাদের পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে ডিবি।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম জানান, প্রাথমিক তদন্ত ও ঘটনাস্থল থেকে জব্দ করা ভিডিও ফুটেজে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১৯ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড