নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী ঢাকায় দিনের পর দিন প্রভাবশালী রাজনীতিকদের ছত্রছায়ায় চলে আসছে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা। এসব ব্যবসার আড়ালে জড়িত রয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা। এরই মধ্যে গত বুধবার রাতের অভিযানে ধরা পড়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। তবে এসব কর্মকাণ্ডের আড়ালে জড়িত আছেন আরও বড় বড় রাঘব বোয়ালরা। যাদের কাছে অনেকটাই চুনুপুঁটি বলা যায় খালেদকে।
তবে এসব বিতর্কিত নেতাকর্মীদের নিয়ে ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এমন কোনো নেতাকর্মী দলে প্রয়োজন নেই এমনটাই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার এই নির্দেশনার পর অবৈধ সব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এবার নড়েচড়েই বসেছে প্রশাসন।
গত বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার ভোড় পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় র্যাবের মোট পাঁচজন ম্যাজিস্ট্রেট। এসব অভিযানে চারটি ক্যাসিনো থেকে অন্তত ২০১ জনকে গ্রেফতার করে র্যাব।
এছাড়া রাজধানীর গুলশান ২ এর ৫৯ নম্বর সড়কের ৪ নম্বর প্লট থেকে আটক করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে। অবৈধ ক্যাসিনোর মালিকানা, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র বহন করার অভিযোগে তাকে আটক করা হয়।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৩)। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উয়িংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি মিজানুর রহমান ভূঁইয়া দৈনিক অধিকারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। গুলশান থানায় অস্ত্র মামলা ও মতিঝিল থানায় মাদক মামলা করা হবে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে।’
খালেদ মাহমুদের বাসায় অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা জানান, ‘তার বাসা থেকে একটি অবৈধ পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি, ২০১৭ সালের পর নবায়ন না করা একটি শটগান উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ৫৮৫ পিস ইয়াবাও উদ্ধার করা হয়েছে।’
বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আরিফ হোসেন জানান, ‘বিকাল ৩টার দিকে ডিবির সদস্য পরিচয়ে কয়েকজন বাসায় আসেন। ৪টার দিকে বাসায় ঢোকে র্যাব। সাড়ে চারটার দিকে বাড়ির লোকজনকে ডেকে বলা হয়, আপনারা আসুন। বাড়ি তল্লাশি করা হবে। লকার থেকে দুটি অস্ত্র এবং ওয়াল আলমারি থেকে দুই প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’
আরিফ হোসেন আরও জানান, গত ৪ বছর আগে খালেদ মাহমুদ ফ্ল্যাটটি ক্রয় করেন। তিনি এখানে শ্বশুর-শাশুড়ি, স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ থাকতেন। রাত ৯টার দিকে খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ডিবি অফিসের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এর আগে বিকাল থেকে গুলশান-২-এর বাসাটি ঘিরে রাখে র্যাব। লে. কর্নেল মো. সারওয়ার-বিন-কাশেম বলেন, ‘গুলশান-২-এর ৫৯ নম্বর সড়কে ৪ নম্বর প্লটে একজন অভিযুক্তের বাসা ঘিরে রাখা হয়েছে।’ বাসার দারোয়ান হেমায়েত হোসেন বলেন, ‘বিকাল সাড়ে ৩টায় বাসায় আসেন খালেদ মাহমুদ। এর পরপরই র্যাব বাসায় আসে।’
র্যাব সূত্রে জানা যায়, রাজধানীতে যুবলীগের মদদে অন্তত ৬০টি ক্যাসিনো চলছে। এরমধ্যে মতিঝিল, ফকিরাপুল এলাকায় কমপক্ষে ১৭টি ক্লাব নিয়ন্ত্রণ করেন খালেদ। ১৬টি ক্লাব নিজের লোকজন দিয়ে আর ফকিরাপুল ইয়ংমেনস নামের ক্লাবটি সরাসরি তিনি পরিচালনা করেন। প্রতিটি ক্লাব থেকে প্রতিদিন কমপক্ষে ১ লাখ টাকা নেন তিনি। এসব ক্লাবে সকাল ১০টা থেকে ভোর পর্যন্ত চলে ক্যাসিনো।
জুয়ার ব্যবসা বাদেও যুবলীগ নেতা খালেদের বিরুদ্ধে আছে চাঁদাবাজিসহ একাধিক অভিযোগ। রাজধানীর খিলগাঁও-শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী লেগুনা ও গণপরিবহন থেকে নিয়মিত টাকা দিতে হয় খালেদকে। প্রতি কোরবানির ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ, মেরাদিয়া ও কমলাপুর পশুর হাটও নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি।
এছাড়া খিলগাঁও রেল ক্রসিংয়ে প্রতিদিন রাতে মাছের হাট বসান খালেদ। সেখান থেকে মাসে কমপক্ষে ১ কোটি টাকা আদায় করেন তিনি। শাহজাহানপুরে রেলওয়ের জমি দখল করে দোকান ও ক্লাব নির্মাণেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, মতিঝিল, শাহজাহানপুর, রামপুরা, সবুজবাগ, খিলগাঁও, মুগদা এলাকা নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এসব এলাকায় থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যথাক্রমে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), রেলভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফকিরাপুল জোনসহ বেশিরভাগ সংস্থার টেন্ডারের নিয়ন্ত্রণও ছিল তার হাতে। ‘ভূঁইয়া অ্যান্ড ভূঁইয়া’ নামের প্রতিষ্ঠানটি দিয়ে তিনি তার কার্যক্রম পরিচালনা করেন।
যুবলীগ নেতা খালেদের চাঁদাবাজির হাত থেকে রক্ষা পেতেন না কেউ। কারণ কোনো ব্যবসায়ী বা অন্য কেউ যদি খালেদের চাঁদা দাবি প্রত্যাখ্যান করতেন তবে তাদের নির্যাতনের জন্য ছিল এই যুবলীগ নেতার আলাদা টর্চার সেল। যেখানে নির্যাতনের জন্য রয়েছে অনেক ধরনের যন্ত্রপাতি। কেউ চাঁদা দিতে না করলেই টর্চার সেলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন চালানো হতো। উচ্চ মাত্রায় সুদ ও পাওনা টাকা আদায়সহ সব ধরনের কাজে ব্যবহার করা হতো এই টর্চার সেল।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের উল্টো দিকে ইস্টার্ন কমলাপুর টাওয়ারে এই টর্চার সেলের সন্ধান পায় র্যাব-৩ এর একটি দল। তাদের অভিযানে উঠে আসে এসব তথ্য।
অন্যদিকে খালেদের এসব কার্যক্রম চলে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের শীর্ষ নেতাদের ছত্রছায়ায়। ২০১২ সালের পর তাদের ছত্রছায়ায় ঢাকার একটি অংশের পুরো নিয়ন্ত্রণ আসে খালেদের হাতে। আর এলাকায় নিজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে সর্বোচ্চ শক্তির ব্যবহার শুরু করেন তিনি।
রাজধানীর উত্তরা, গুলশান, বনানী, বারিধারা, মতিঝিল, ফকিরাপুল, ক্লাবপাড়া, বাংলামোটর, ইস্কাটন, ধানমন্ডি, গ্রিনরোড এলাকা মিলিয়ে অন্তত ৬০টি ক্যাসিনোর তথ্য ইতোমধ্যেই পাওয়া গেছে। যেসব ক্যাসিনো গুলোর নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন অনেক প্রভাবশালী নেতারা।
র্যাব জানায়, ওয়ান্ডার্স ক্লাবের ক্যাসিনোর মালিক হলেন, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাওসার মোল্লা এবং স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ। দুজনই পলাতক আছেন বলে র্যাব জানিয়েছে।
বুধবার রাতে গুলিস্তানে পীর ইয়েমেনি মার্কেটসংলগ্ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ক্যাসিনোতে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব।
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, ক্যাসিনো নামে ঢাকায় জমজমাট ১২টি ক্লাব। এসব জুয়ার আসর থেকে আওয়ামী যুবলীগের নামে দৈনিক ভিত্তিতে বিপুল পরিমাণ চাঁদা তোলা হয়। প্রতিটি ক্লাব থেকে দৈনিক চাঁদা ধার্য করা আছে দশ লাখ টাকা। সে হিসাবে দৈনিক চাঁদার পরিমাণ ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এসব ক্যাসিনো থেকে প্রতি মাসে চাঁদা ওঠে ৩৬ কোটি টাকা। বছরে এই টাকার পরিমাণ ৪শ ৩২ কোটি, যা অবিশ্বাস্য বটে। তবে বিশাল অঙ্কের এই টাকার ভাগ যায় ক্ষমতাসীন দলের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাদের পকেটে। প্রতি মাসে চাঁদা হিসেবে আদায় করা এই টাকাকে বলা হয় ‘প্রক্রিয়ার টাকা’।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নির্দেশ অনুযায়ী ইতোমধ্যে জুয়ার আস্তানাগুলোয় সাঁড়াশি অভিযান চালানো শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ক্যাসিনো ব্যবসার প্রধান ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত ক্ষমতাধর দুই যুবলীগ নেতা খোরশেদ আলম ও আরমান গা ঢাকা দিয়েছেন।
সেপ্টেম্বরের ১৬ তারিখ গভীর রাত থেকে ক্যাসিনোগুলো ঘিরে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা তৎপরতা শুরু করে। রাজধানীর কাকরাইলে নেতাদের আস্তানায় ডিবি ও র্যাব সদস্যরা তল্লাশি শুরু করলে ক্যাসিনো জগতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একে একে ক্যাসিনোগুলো বন্ধ হতে শুরু করে।
গুলশান থেকে বুধবার আটক হওয়ার পর ক্যাসিনো ব্যবসায় জড়িত অনেক প্রভাবশালীদের নাম প্রকাশ করেছেন খালেদ। এ ব্যাপারে দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা যায়, রাতভর জিজ্ঞাসাবাদে মতিঝিলের ক্যাসিনো পরিচালনার বিষয়টি মতিঝিল থানা পুলিশ, মতিঝিল জোন, পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপি সদর দপ্তরের কর্মকর্তারা জানতেন বলে দাবি করেন খালেদ। তবে পুলিশের সঙ্গে ক্যাসিনো চালানোর জন্য কোনো আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলেননি তিনি।
দায়িত্বশীল সূত্র আরও জানায়, যুবলীগ নেতা খালেদের ক্যাসিনোর বিষয়ে পুলিশ ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য সংস্থা এবং রাজনীতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা জানতেন। তাদের ‘ম্যানেজ করে’ ক্যাসিনো চালাতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন তিনি।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনো বাণিজ্যের টাকার ভাগ পুলিশসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিকে প্যাকেট করে পাঠানো হতো দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক ভিত্তিতে। অভিযোগ রয়েছে, যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা এই টাকার ভাগ পেতেন। এমনকি ক্যাসিনো বাণিজ্য থেকে আয় হওয়া টাকার একটি অংশ দেশের বাইরেও পাচার হয়ে আসছিল। এসব কারণে রাজধানীতে দিনের পর দিন ক্যাসিনোর কারবার বিস্তার লাভ করে বলে একাধিক সূত্রের তথ্যে জানা যায়।
রাজধানীর পল্টন থানার উল্টো পাশের জামান টাওয়ারে কয়েক বছর পূর্বে ক্যাসিনো বাণিজ্য শুরু হয়। এর পর ধাপে ধাপে আরামবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠে একের পর এক ক্যাসিনো। তবে প্রশাসন শুরু থেকেই এ বিষয়ে নীরব ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাশেম গণমাধ্যমকে বলেন, তাকে আমরা অল্প সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। তবে তদন্ত করার স্বার্থে সেগুলো এখনই পাবলিশ করা যাবে না। বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে। রাজধানীর ক্যাসিনোগুলোর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, অপরাধীরা প্রভাবশালী হলেও ছাড় দেওয়া হবে না।
অন্যদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে অবৈধ জুয়ার আড্ডা, ক্যাসিনো চলতে দেয়া হবে না। এসব জুয়ার বোর্ড, ক্যাসিনো পরিচালনা ক্ষেত্রে যতো প্রভাবশালীরাই জড়িত থাকুক না কেন আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে পুলিশ কঠোর হবে।
এসব বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ কিংবা প্রশাসনের কারও প্রশ্রয়ে অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
র্যাব-পুলিশের অভিযান নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ অভিযান ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে নয়, এটা অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান। যে কেউ অবৈধভাবে কিছু করলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে ক্যাসিনো চালাতে হলে সরকারের অনুমোদন লাগবে বলে জানিয়ে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আমরা দেশে বারের অনুমোদন দিয়েছি। বড় বড় হোটেল ও ক্লাবে বার রয়েছে। কিন্তু ক্যাসিনোর কোনো অনুমোদন আমরা দেইনি। এতোদিন অবৈধভাবে এ ব্যবসা তারা করে এসেছেন। ক্যাসিনো ব্যবসা করতে হলে অনুমোদন লাগবে। আমাদের এ বিষয়ে জানাতে হবে, পরে আমরা অবস্থা বুঝে অনুমোদন দেব। প্রয়োজন হলে নীতিমালা করা হবে। কিন্তু আমাদের না জানিয়ে লুকোচুরি করে ক্যাসিনো ব্যবসা করবেন অবৈধভাবে সেটা হতে পারে না।’
এর আগে দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যুবলীগের সবার আমলনামা আমার হাতে এসেছে। আমি সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে দিয়েছি।
যুবলীগ মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিন গাড়ি অস্ত্র থাকে তার বহরে। আমার দলে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীর দরকার নাই। এরা দলকে, রাজনীতিকে কিছু দেয় না। এরা দলের বোঝা। সংশোধন না হলে জঙ্গিদের মতো তাদেরও দমন করব।
ওডি/এআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড