অধিকার ডেস্ক
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পুলিশের বিতর্কিত ডিআইজি মিজানুর রহমান, তাঁর স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না, ভাই মো. মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধে মামলা করার পর আসামিরা গাঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সোমবার (২৪ জুন) তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়েছে।
তবে থানায় নয়, দুদক বিধিমালা সংশোধনের পর এ মামলা দুদকের প্রধান কার্যালয়েই করা হয়েছে। দুদক কার্যালয়ে করা এটিই প্রথম মামলা।
গতকাল সেগুনবাগিচায় দুদকের ঢাকা বিভাগীয় সমন্বয় কার্যালয়ে অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। নামে-বেনামে আত্মীয়স্বজনের নামে ফ্ল্যাট, জমিসহ সম্পত্তি কেনা হলেও কৌশলে ডিআইজি মিজানই এসবের মালিক এবং দখলদারিতে রয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
দুদকের একটি সূত্রে জানা গেছে, মামলার পরপরই আসামিদের গ্রেপ্তারে দুদকের তদন্ত টিম মাঠে নেমেছে। গ্রেপ্তার এড়াতে ডিআইজি মিজান এরই মধ্যে নিজের বাসস্থান থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে দুদকের সূত্র জানিয়েছে। মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাঁর অবস্থান জানার চেষ্টা চলছে।
দুদক কর্মকর্তারা বলছেন, যেখানেই পালিয়ে থাকুক না কেন, অবশ্যই তাঁকে দুদকের জালে আটকানো হবে।
এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধানদল ডিআইজি মিজান এবং তাঁর স্বজনদের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশসহ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করে। প্রতিবেদনে মিজানের ঢাকা ও বরিশালে একাধিক ফ্ল্যাট, জমি, গাড়ি-বাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির তথ্য-প্রমাণাদি উল্লেখ করা হয়। গত রবিবার কমিশনের বৈঠকে যাচাই-বাছাই শেষে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল ওই অনুসন্ধান চালায়। দলের অন্য দুই সদস্য হলেন উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নেয়ামুল আহাস গাজী।
অন্যদিকে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে সদ্য বরখাস্ত হওয়া দুদক পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা এনামুল বাছিরকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে পৃথক একটি দল অনুসন্ধান চালাচ্ছে। মিজান ও বাছিরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগামী ১ জুলাই দুদক কার্যালয়ে হাজির হতে গতকাল নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে ডিআইজি মিজানকে শিগগিরই সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে বলে। তবে তাঁকে গ্রেপ্তারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ এখনো নেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রসচিব (জন নিরাপত্তা বিভাগ) মোস্তাফা কামাল উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা নেই। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা চলছে। বিভাগীয় মামলায় কাউকে গ্রেপ্তার করা হয় না।’
ওডি/এসিএস
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড