• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নুসরাত হত্যার ‘ওস্তাদ’ এর রহস্য উন্মোচন

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৩০
নুসরাত জাহান
মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি (ছবি : ফাইল ফটো)

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় ওস্তাদের দেওয়া নির্দেশ মোতাবেক। ওস্তাদকে রক্ষায় তার নির্দেশে মাদ্রাসার হোস্টেলে বৈঠক করে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ কে কোথায় কীভাবে কাজ করবেন, সার্বিক বিষয় নিয়েই সাজানো হয় পুরো হত্যার ছক।

নুসরাত হত্যার অন্যতম পরিকল্পনাকারী জাবেদ হোসেন দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে অধ্যক্ষ সিরাজের (ওস্তাদ) নির্দেশনাসহ পুরো হত্যার পরিকল্পনা নিয়ে বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন। শনিবার (২০ এপ্রিল) রাতে জাবেদ হোসেন ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরাফ উদ্দিন আহম্মেদের সামনে এ স্বীকারোত্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

জাবেদ হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে নুসরাতের গায়ে সে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং ঘটনার পরিকল্পনার সঙ্গেও সে জড়িত ছিল বলে জানান। জাবেদ বলেন, “কারাগারে দেখা করতে গেলে ওস্তাদ (অধ্যক্ষ সিরাজ) আমাদের কিছু একটা করার নির্দেশ দেন। আমরা তাকে বলি- আপনার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা দিয়ে আলেম সমাজকে হেয় করা হয়েছে। মাদ্রাসার সুনাম ক্ষুণ্ণ করা হয়েছে। তখন ওস্তাদ তার বিশ্বস্ত শিক্ষার্থী হিসাবে আমাদের ‘করো, তোমরা কিছু একটা করো’ বলে নির্দেশ দেন।”

জাবেদ আদালতে আরও বলেন, ‘৫ এপ্রিল পরিকল্পনায় বসি আমরা পাঁচজন। বৈঠকের শুরুতেই শামীম নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারার প্রস্তাব দেয়। সে হত্যার জন্য দুটি কারণ আমাদের সামনে নিয়ে আসে। একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মামলা করে নুসরাত আলেম সমাজকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। অন্যটি হচ্ছে নুসরাত তার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ওই বৈঠকে কীভাবে পুড়িয়ে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে সেটাও শামীম আামাদেরকে জানিয়েছিল। তারপর আলোচনায় নুসরাতকে আগুনে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়।’

জাবেদ বলেন, ‘পরিকল্পনা কার্যকর করতে আমাদের ওস্তাদের ভাগনি ও নুসরাতের বান্ধবী উম্মে সুলতানা পপি ও কামরুন নাহার মনিকে যুক্ত করি। একই সঙ্গে সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাদ্রাসার আরও তিন শিক্ষার্থীকে বিষয়টি অবহিত করি আমরা। পরিকল্পনা অনুযায়ী পপিকে শামীম দায়িত্ব দেয় পুরুষদের জন্য তিনটি বোরকা কিনতে। সেই জন্য দুই হাজার টাকাও দেয় শামীম। পপি বোরকা কেনার জন্য ওই টাকা দেয় মনিকে। মনি ওই টাকায় তিনটি বোরকা ও তিন জোড়া হাত মোজা কিনে শামীমকে দেয়। শামীমের কেরোসিন জোগাড়ের দায়িত্ব নেয়। ঘটনার দিন নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা করার স্থান সেই সাইক্লোন সেন্টারে মনি, শামীমসহ পাঁচজন কেরোসিন ও বোরকা নিয়ে চলে যায়। আলিম পরীক্ষা থাকায় ছাদে দুটি টয়লেটে আমরা লুকিয়ে ছিলাম। পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে পপিকে দিয়ে নুসরাতকে বলানো হয় ছাদে কারা যেন তার বান্ধবী নিশাতকে মারধর করছে। এই খবরে নুসরাত পপির সঙ্গে দৌড়ে ছাদে আসলে শামীমসহ বোরকা পরা আমরা চারজন নুসরাতকে ঘিরে ধরি। এ সময় তাকে ওস্তাদের ( অধ্যক্ষের) বিরুদ্ধে করা মামলা তুলে নিতে বলি। নুসরাত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তারই ওড়না দিয়ে মনি ও পপিকে দিয়ে আমরা তার হাত বেঁধে ফেলার চেষ্টা করি। শামীমসহ আমরাও এ কাজে যোগ দেই। এ সময় মনি নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়। পরে হাত বাঁধা অবস্থায় আমরা তার শরীরে আগুন লাগিয়ে দ্রুত নিচে নেমে অন্যদের সঙ্গে মিশে যাই।’

এর আগে নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় অনেকবার ‘ওস্তাদ’ শব্দটি বলেছিল। মারা যাওয়ার আগে এই শব্দটি দিয়ে তিনি কোনো কথা বুঝানোর চেষ্টা করেছিল। তবে মূর্ছা অবস্থায় এর চেয়ে বেশি কিছু বলে যেতে পারেন নি নুসরাত।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নুসরাতের সেবাদাতা নার্স ও চিকিৎসকদের নিকট থেকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন। চিকিৎসাধীন থেকে নুসরাতের মৃত্যুশয্যা পর্যন্ত এই ‘ওস্তাদ’ শব্দটি বার বার উচ্চারণের বিষয়টি পিবিআইকে তারা নিশ্চিত করেছেন।

একই সঙ্গে পিবিআইয়ের দুজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নুসরাতের মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত সবসময় হাসপাতালে ছিল। তারা নিজেরাও নুসরাতের মুখ থেকে বের হওয়া ‘ওস্তাদ’ কথাটি অনেকবার শুনেছেন। তাই এই ‘ওস্তাদ’ রহস্য খুঁজে পুলিশ। এই বিষয়ে পিবিআইয়ের প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘যেখানে নুসরাতের চিকিৎসা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে; সেখানে আমাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খালেদা বেগম এবং রিমা সুলতানা দুই পুলিশ কর্মকর্তা নুসরাতের কাছাকাছিই সবসময় উপস্থিত ছিল। আমরা চেষ্টা চালিয়েছি ডাক্তার ও নার্সরা, যারা নুসরাতকে সেবা দিচ্ছিল। তারা কেউ অন্য কোনো তথ্য দিতে পারেন কি না।’

তিনি বলেন, ‘সে (নুসরাত) মূর্ছার মধ্যেও বলার চেষ্টা করেছে যে বক্তব্যটি সে তার ভাইয়ের কাছে দিয়েছে। তেমনি বলার চেষ্টা করেছে। নুসরাত শুধু একটি মাত্র শব্দ বলছে, যেটা আগে প্রকাশ করতে চাই নাই। সে মাঝে মাঝে ‘ওস্তাদ’ শব্দটি বলছে। এটার আমরা অর্থ বুঝি নাই। এটা আমরা বের করব।’

এদিকে নুসরাত হত্যার সঙ্গে জড়িত দুই আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেনের জবানবন্দি থেকে জানা যায়, নুসরাতকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয় ৪ এপ্রিল। ৫ এপ্রিল কেরোসিন কেনা হয়। আর ৬ এপ্রিল তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, এদিন পরীক্ষা দিতে এলে কৌশলে মাদ্রাসার তৃতীয় তলা ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয় নুসরাতকে। এর পর কেউ পা বাঁধেন ওড়না দিয়ে, কেউ কেরোসিন ঢেলে দেন পা থেকে বুক পর্যন্ত। অন্য একজন ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন গায়ে। তারা সংখ্যায় ছিলেন পাঁচজন আর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সময় লেগেছে মাত্র পাঁচ মিনিট। সবই করা হয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার নির্দেশে।

জবানবন্দিতে ঘটনার দিনের বিস্তারিত সম্পর্কে শামীম বলেন, নুসরাতকে নিয়ে পপি ছাদে উঠলে আমরা চারজন দ্রুত তার কাছে চলে যাই। এর পর মনি ও পপি ধরে ফেলে নুসরাতকে। তখন আমি নুসরাতের মুখ চেপে ধরি। জোবায়ের নুসরাতের ওড়না ছিঁড়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে। আমরা নুসরাতকে ছাদে শুইয়ে ফেলি। আমি নুসরাতের মুখ চেপে মাথা ধরে রাখি। মনি তার বুক ধরে রাখে। পপি পা ধরে রাখে। আর জাবেদ পলিব্যাগে থাকা কেরোসিন নুসরাতের পা থেকে বুক পর্যন্ত ঢেলে দেয়। জোবায়ের ম্যাচের কাঠি জ্বালিয়ে নুসরাতের গায়ে আগুন দেয়।

তিনি জানান, এতে সময় লাগে প্রায় পাঁচ মিনিট। ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন দিলে তা দ্রুত গায়ে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর আমি, জাবেদ ও জোবায়ের বোরকা খুলে ফেলি। আমি প্রস্রাবখানার পাশ দিয়ে বের হয়ে যাই। জাবেদ মাদ্রাসার হোস্টেলে ঢুকে যায়। মনি ও পপি ওরফে শম্পা পরীক্ষার হলে ঢুকে যায়।

নুসরাতের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কেরোসিন ও বোরকা কিনে এনেছিল তার সহপাঠী মনি বলে তদন্ত সূত্রে জানা গেছে। মনিকে ইতোমধ্যেই পাঁচ দিনের রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সরাসরি অংশ নেওয়া মনিকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সে কেরোসিন ও বোরকা কিনে মাদ্রাসার সাইক্লোন শেল্টারে এনেছিল। মনির কাছে এই বিষয়ের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে বলে জানিয়ে পিবিআই প্রধান বলেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

এদিকে নুসরাতকে হত্যা করতে জেল থেকে নির্দেশ দেন মামলার প্রধান আসামি মাদ্রাসা অধ্যক্ষ সিরাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নুর উদ্দিন ঘটনার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। যৌন নির্যাতনের মামলা হওয়ায় আলেম সমাজকে হেয় করা হয়েছে- এই ধরনের যুক্তি দিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ জেল থেকেই তার সাঙ্গপাঙ্গদের নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে মারার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মতো নুসরাতের গায়ে আগুন দেয় তারা। জবানবন্দিতে নুর উদ্দিন বলেছেন, এপ্রিলের ১ ও ৩ তারিখ কারাগারে আটক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানেই নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। অধ্যক্ষের পরামর্শেই নুসরাতের গায়ে আগুন ধরানো হয়।

গত ২৭ মার্চ ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। পরে ওই মামলায় গ্রেফতার করা হয় অধ্যক্ষকে। গ্রেফতারের এই ঘটনার পর ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম (এইচএসসি) পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গেলে সেখানে পরিকল্পিতভাবে ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের শরীরে জীবন্ত আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই সময় বোরকা পরিহিত ৪-৫ জন ওই ছাত্রীর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়।

শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত কক্ষ থেকে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে কয়েকজন বোরকা পরা নারী পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। তারা জানান, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলা তুলে না নেয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। এ তথ্য ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় পুলিশকেও জানিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। তার অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় ওই দিন বিকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা করেন ওই ছাত্রীর মা। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে অধ্যক্ষ তার অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রীকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। পরে পরিবারের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হন অধ্যক্ষ। সেই মামলা তুলে না নেয়ায় অধ্যক্ষের লোকজন ওই ছাত্রীর গায়ে আগুন দেয়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত। গত বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

ওডি/এআর

অপরাধের সূত্রপাত কিংবা ভোগান্তির কথা জানাতে সরাসরি দৈনিক অধিকারকে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড