টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
পাকিস্তান থেকে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছিলেন ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরী। এসেই টাঙ্গাইলের গোপালপুরে দুর্বৃত্তদের দ্বারা প্রথমে অপহরণ এবং পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার হতে হয় তাকে। ধর্ষণের শিকার সেই কিশোরী পাকিস্তানের নিউ করাচির পুপার হাইওয়েজ রোডের বাসিন্দা। তিনি সেখানকার একটি স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় গত বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে ধর্ষিতার মা থানায় নিজে বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখসহ মোট তিনজনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সম্প্রতি পাকিস্তান থেকে ভিসা নিয়ে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়াতে এসে প্রথমে অপহরণ এবং পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার হন সেই কিশোরী।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘উপজেলার উত্তর গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা হুমায়ুন কবীর প্রায় ২০ বছর আগে পাকিস্তানের নিউ করাচিতে গিয়ে সেখানে সেই দেশের নাগরিক নীলুফার বেগমকে বিয়ে করে গার্মেন্টস ব্যবসা শুরু করেন।’
‘পরে গত বছরের নভেম্বর মাসে পাকিস্তানি নাগরিক নীলুফার বেগম ৬ মাসের ভিসা নিয়ে নিজের মেয়ে সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়ি বেড়াতে আসেন। তখন তিনি উঠেন উত্তর গোপালপুর গ্রামের ভাসুর আব্দুল ওয়াদুদের বাড়িতে।’
গোপালপুর থানার ওসি আরও বলেন, ‘সেখানে ওঠার পর থেকেই আরেক ভাসুর আবুল হোসেনের ছেলে আল আমিন সেই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে। এতে বেশ কয়েকবার শ্লীলতাহানির চেষ্টা করলে পারিবারিকভাবে বিষয়টি ফয়সালার চেষ্টা করা হয়।’
‘এদিকে তাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় মা-মেয়ের পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার খবর শুনে আল আমীন ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়। পরে গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাতে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় সেই কিশোরীকে বাড়ি থেকে অপহরণের পর তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়।’
আরও পড়ুন :- সুজনের গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নুসরাতের ভাইয়ের আর্তনাদ
ওসি হাসান আল মামুন এও জানিয়েছেন, পুলিশ বৃহস্পতিবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার মহিষাকান্দি মোড়ের এক বাসা থেকে বন্দীবস্থায় সেই কিশোরীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে আল আমীনসহ মোট তিনজনকে আসামি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অভিযুক্ত ধর্ষকের মাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া মামলায় প্রধান অভিযুক্ত আল আমীন এবং এতে জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলে দাবি পুলিশের।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড