নিজস্ব প্রতিবেদক
চিপস ঝোলানোর অভিযোগে কনফেকশনারী দোকানীর কাছ থেকে নেয়া ঘুষের দুই হাজার টাকা ফেরত দিল কাফরুল থানা পুলিশ। ভবিষ্যতে এমন ঘুষ নেয়ার কাজ আর হবে না বলেও জানান পুলিশ।
রবিবার (২৮ জানুয়ারি) ‘স্যারকে ম্যানেজ করলে সমাধান হবে, বললেন পুলিশ সদস্য’ শিরোনামে দৈনিক অধিকারে সংবাদ প্রকাশের পর একইদিন রাত ১১ টার দিকে কাফরুলের ময়না জেনারেল স্টোরে গিয়ে টাকা ফেরত দেয় পুলিশ। এসময় গ ঙ ৩৯৮৮৩৪৭ এবং ঘ ঙ ৪৮৮৮৬৭৫ নাম্বারে ১ হাজার টাকার দুটি নোট দোকানী ফেরত দেয়া হয়।
টাকা ফেরত পেয়ে দোকানী জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, কল্পনাও করতে পারিনি পত্রিকায় খবর ছাপার পর আমার টাকা দেবে পুলিশ। টাকা পাওয়ার পর পুলিশের ওপর আমার আর কোনও অভিযোগ নেই জানান দোকানদার জয়নাল ।
আরও পড়ুন- স্যারকে ম্যানেজ করলে সমাধান হবে, বললেন পুলিশ সদস্য
এ ব্যাপারে কাফরুল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসাই) কাজী রায়হান বলেন, আমার টিমের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল আমার অজান্তেই টাকা নেয়। এমন কাজের জন্য আমি ক্ষমা প্রার্থী ও ভুল স্বীকার করছি। ভবিষ্যতে এমন ঘুষ নেয়ার কাজ আর হবে না বলেও তিনি জানান।
ভবিষ্যতে দোকানীকে কোনও ঝামেলায় ফেলবেন কি না-এমন প্রশ্নে এসআই রায়হান বলেন, না এমন কাজ আমরা করবো না।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) কাফরুল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কাজী রায়হান, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) রেজাউল ও কনস্টেবল শহিদুল ওই দোকানদারকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা দুই হাজার টাকা ঘুষ নেয়।
দোকানীর অভিযোগ ছিল, সেদিন (বৃহস্পতিবার) সকালে ১০/১২ জন পুলিশ এসে দোকানের সামনে থাকা জিনিসগুলো ভেতরে সরিয়ে নিতে বলে। কিন্তু দোকানের একটা সীমানা দেওয়া আছে সেই সীমানার বাইরে দোকানের কোনো মালামাল নেই। বিকালে পুলিশ আবারও এসে গালাগালি করে। নাম-ঠিকানা নিয়ে মামলার ভয় দেখায়। পাশে থাকা এক পুলিশ সদস্য তখন বলে- স্যার আছে স্যারের সাথে কথা বলে ম্যানেজ করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। পরে অনেক চেষ্টার পর দুই হাজার টাকা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড