নিজস্ব প্রতিবেদক
অস্ত্র, মাদক ও জাল টাকার পৃথক তিন মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ওরফে পিউ এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন। তবুও এই দম্পতির গর্জন কমছে না, জেলে বসেই হুঙ্কার ছাড়ছেন। তবে নরসিংদীতে দাপিয়ে বেড়ানো পাপিয়ার ‘কেএমসি’ বাহিনী গা ঢাকা দিয়েছে।
নরসিংদীর একদল যুবক-যুবতীর হাতে ইংরেজি অক্ষরে লেখা ‘কেএমসি’ ট্যাটু সম্পর্কে জানা যায়, খাজা বাবার ভক্ত হিসেবে তারা তাদের হাতে এই উল্কি এঁকেছেন। কেএমসির পূর্ণরূপ হলো খাজা মঈনুদ্দীন চিশতি।
স্থানীয় রাজনীতির সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের সবার কাছে এই ট্যাটু খুবই চেনা। উল্কি আঁকা যুবকরা প্রায়ই মোটরসাইকেল বহন নিয়ে নরসিংদী শহর দাপিয়ে বেড়ান। অস্ত্র, টেন্ডারবাজি, মাদক, কাউকে ধরে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা, জমি দখল করাই হলো তাদের কাজ। মানুষ তাদের চেনে ‘কেএমসি বাহিনী’ নামে।
২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ‘কেএমসি বাহিনী’ গড়ে তোলেন পাপিয়া-সুমন দম্পতি।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, কেএমসি বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৩০-৩৫ জন। এদের সবাই পাপিয়ার বেতনভুক্ত। পাপিয়া-সুমন নরসিংদীতে এলে কেএমসি বাহিনীর সদস্য গাড়ির সামনে–পেছনে মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দেন। পাপিয়া র্যাবে হাতে গ্রেপ্তারের পর কেএমসি বাহিনীর সবাই গা ঢাকা দেন। এখন আর ওই এলাকায় কাউকে দেখা যাচ্ছে না।
র্যাব সূত্র জানায়, যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানের হাতেও বাহিনী প্রতীকের উল্কি আছে। এছাড়াও পাপিয়ার ডান হাতে একটি ধর্মীয় স্থাপনার ছবি এবং বাম হাতে এক দেবীর ছবির উল্কি আঁকা রয়েছে।
আরও পড়ুন : পুরুষদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য পাপিয়ার
র্যাব কর্মকর্তারা জানান, পাপিয়ার কর্মকাণ্ড অদ্ভূত ও জীবন যাপন খুবই রহস্যময়। তিনি নিজের বাসা ছেড়ে দিনের পর দিন রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল গুলোতে থাকতেন। নায়িকাদের মতো সেজে গানের দৃশ্য ভিডিও করতেন। আবার কখনো সুইমিংপুলে একাধিক মেয়েদের নিয়ে নাচানাচিতে মেতে উঠতেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ হাজারের মতো।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশত্যাগের সময় পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। পৃথক তিন মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ১৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। ডিবি তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
ওডি/টিএএফ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড