নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী কানিজ ফাতেমা (২৫) ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন বাড়িওয়ালা সাফকাতকে। কিন্তু বিয়ের দুই মাস পরই ভালোবাসার সেই স্বামীর ছুরিকাঘাতেই প্রাণ হারান ফাতেমা।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর কুড়িল চৌরাস্তায় কানিজ ফাতেমাকে ছুরিকাঘাত করেন তার স্বামী সাফকাত। বরিশালের বাকেরগঞ্জের মেয়ে কানিজ ফাতেমা একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন।
কানিজ ফাতেমার ছোট বোন আয়েশা আক্তার জানান, কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় তার বোনের স্বামী সাফকাতের নিজের বাড়ি। ওই বাড়ির পাশের বাসায় তারা ভাড়া থাকতেন।
আয়েশা আরও বলেন, দুজনের বাসা পাশাপাশি হওয়ায় কানিজ ও সাফকাতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দুই মাস আগে তারা সবার অজান্তে নিজেরাই বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই নানা সমস্যা শুরু হয়। প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো।
ফাতেমার বাবা শাহ আলম হাওলাদার রাজধানীর একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। তিনি জানান, স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার মেয়ে এক সপ্তাহ আগে বাবার বাসায় ফিরে আসেন। সাফকাত বুধবার (২৭ নভেম্বর) কানিজকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে ফাতেমার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
শাহ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কানিজের মা ও খালা তার খোঁজে গেলে ফাতেমাকে তারা অনেকটা নিস্তেজ অবস্থায় পান। সে সময় ফাতেমা তার মা ও খালাকে জানিয়েছিল, কফির সঙ্গে কিছু একটা মিশিয়ে তাকে খাওয়ানো হয়েছে। এর পর কানিজের মা ও খালা মিলে তাকে বাসায় ফিরিয়ে নিয়ে আসছিলেন। পথে কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় সাফকাত এসে তাকে ছুরিকাঘাত করেন।
এ বিষয়ে ভাটারা থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান গণমাধ্যমকে জানান, পুরো ঘটনাটি তারা এখনো জানেন না। তবে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার জের ধরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছেন।
তবে ভুক্তভোগীরা কেউ এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেনি। সব তথ্য জানার পর প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
ওডি/এমআই
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড