• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

২৫ জনকে আসামি করে আবরার হত্যার চূড়ান্ত চার্জশিট

  নিজস্ব প্রতিবেদক

১৩ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:১১
আবরার হত্যা মামলা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের ব্রিফিং
আবরার হত্যা মামলা নিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামের ব্রিফিং (ছবি : দৈনিক অধিকার)

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২৫ জনকে আসামি করে চূড়ান্ত চার্জশিট আদালতে জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। আবরারকে মারধরের ঘটনায় ১১ জন সরাসরি জড়িত ছিল বলে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার প্রধান মনিরুল ইসলাম।

বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম।।

বুয়েট প্রশাসনকে আরও সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আরও সচেতন হলে এমন ঘটনা ঘটত না।’

তিনি বলেন, ‘চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডে বুয়েটের ২৫ জন ছাত্রের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত ১৯ জন, এজাহারের বাইরে আরও ছয়জন। ছয়জনের মধ্যে একজন পলাতক আছে। আর এজাহারের মধ্যে পলাতক আছে তিনজন। সরাসরি মারধরে অংশগ্রহণ করে ১১ জন। বাকিরা পরিকল্পনায় জড়িত ছিল। এই মামলার সাক্ষী ৩১ জন।’

আবরার হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আট আসামি ইতোমধ্যেই আদালতে দিয়েছেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি। তারা হলেন- নাজমুস সাদাত, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অনিক সরকার, মুজাহিদুর রহমান, ইফতি মোশাররফ সকাল, মেহেদি হাসান রবিন, তাবাখখারুল ইসলাম তানভীর ও মনিরুজ্জামান মনির। আর বাকিরা পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে বলে জানান মনিরুল ইসলাম।

চূড়ান্ত চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, অনিক সরকার, মেহেদী হাসান রবিন, ইফতি মোশররফ সকাল, মনিরুজ্জামান মনির, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, অমিত সাহা, মাজেদুল ইসলাম, মুজাহিদুর রহমান, তাবাখারুল ইসলাম তানভীর, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মো. জিসান, আকাশ হোসেন, শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মো. মোর্শেদ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, মুনতাসির আল জেমি, মিজানুর রহমান, শামসুল আরেফিন রাফাত, ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, মোশতুবা রাফি এবং এস এম মাহমুদ সেতু।

এখন পর্যন্ত পলাতক রয়েছেন জিসান, তানিম, মোরশেদ, মোশতুবা রাফি।

প্রসঙ্গত, ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় খুন হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে গত ৫ অক্টোবর শনিবার বিকালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে ৬ অক্টোবর রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পিটুনির সময় নিহত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশকে খবর দেয় মারধরের সাথে জড়িতরা।

তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।

হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ না রাখতে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে (ডিলিট) দেয় খুনিরা। তবে পুলিশের আইসিটি বিশেষজ্ঞরা তা উদ্ধারে সক্ষম হন। পুলিশ ও চিকিৎসকরা আবরারকে পিটিয়ে হত্যার প্রমাণ পেয়েছেন।

আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ইতোমধ্যে পুলিশ ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে। ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। ৬ জন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওডি/এমআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড