ক্রীড়া ডেস্ক
ব্যক্তিগত শোকের কথা কাউকে জানাতে চাননি জোফরা আর্চার। কেউ একবারও ভাবেনি, বিশ্বকাপ ফাইনালে যিনি সুপার ওভারে চাপ নিয়ে বোলিং করেছেন, ব্যক্তিজীবনে তিনি দুর্বিষহ কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন।
সারা বিশ্ব দেখেছে পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আর্চারের নিখুঁত সুইং, বাউন্সার। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও দারুণ বোলিং করেন তিনি। অথচ তিনি বিশ্বকাপ খেলেছেন ভাইয়ের মৃত্যুর শোক নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল ৩১ মে, অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে ইংল্যান্ডের ম্যাচের পরদিন।
বাবার্ডোজের সেন্ট ফিলিপ শহরে নিজ বাড়ির বাইরে দুই আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন জোফরা আর্চারের ভাই (কাজিন) আশানশিয়ো ব্ল্যাকম্যান। ২৪ বছর বয়সী আর্চারের সমবয়সী ছিলেন আশিনশিয়ো। মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত মেসেজে কথা বলেন আর্চার।
এ ঘটনায় খুব ভেঙে পড়েন আর্চার। কারণ দুজনে এক সঙ্গে বেড়ে উঠেছিলেন, এক সঙ্গে স্থানীয় ক্রিকেটও খেলেছেন। বিশ্বকাপ শেষে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করেন জোফরা আর্চারের বাবা ফ্রাঙ্ক। তিনি বলেন, ‘ওরা খুব ঘনিষ্ঠ ছিল। এই ঘটনার পর আর্চার খুব ভেঙে পড়েছিল। কিন্তু তারপরও খেলা চালিয়ে গিয়েছে।’
জোফরার মনে হয়েছে, সবাই ঘটনাটি জানলে বারবার এ নিয়ে কথা বলত। এতে খেলা থেকে মনোযোগ সরে যেতে পারত আর্চারের। তাই এ নিয়ে কাউকে কিছু বলেননি তিনি। মানসিকভাবে নিজেকে ঠিক রেখে ছিলেন। বিশ্বকাপে স্টার্ক, কামিন্সের পর সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেছেন আর্চার।
আর্চারের বাবা ফ্রাঙ্ক বলেন, আর্চারের লক্ষ্য ছিল বিশ্বকাপে নিজের জায়গা পাকাপাকি করা। ‘আট বছর থেকেই ছেলের স্বপ্ন ছিল ইংল্যান্ড দলে খেলার। অনেকেই প্রশ্ন তুলতেন, আমার ছেলে কতটা ব্রিটিশ তা নিয়ে। কিন্তু বিশ্বকাপে জোফরা যেভাবে খেলল, তাতে ইংরেজ তরুণরাই অনুপ্রাণিত হবে।’
ওডি/এনএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড