ক্রীড়া ডেস্ক
তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। আশা ছিল একার হাতেই হয়তো এনে দেবেন বিশ্বকাপ। কিন্তু গ্রুপ পর্বই পার করতে পারলেন না তারা। দেখে নিন কারা আছে এই তালিকায় :
মাশরাফি বিন মুর্তজা : বাংলাদেশ অধিনায়ক শুধু মাত্র অধিনায়কত্ব ছাড়া এ বারের বাংলাদেশ দলে সুযোগই পেতেন কিনা সন্দেহ। তার থেকে ভাল বোলার বোধহয় বাংলাদেশের দলে ছিল। ছিল ভাল ব্যাটসম্যানও। তার ফিল্ডিং-ও সেই পর্যায়ের নয় যে প্রচুর রান বাঁচিয়েছেন বা ক্যাচ নিয়েছেন।
আট ম্যাচ খেলে নিয়েছেন মাত্র একটি উইকেট, দিয়েছেন ৩৬১ রান। অনেক ম্যাচেই নিজের দশ ওভার কোটা শেষ করেননি। অথচ শুরুতে বল করতে এসে দিয়েছেন অনেক রান। পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে করেছেন ৩৪ রান। এক সময়ের অলরাউন্ডার আজ কোনও বিভাগেই নিজেকে মেলে ধরতে পারছেন না।
ক্রিস গেইল : বলাই যায় এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। চার বছর পর তার পক্ষে খেলা চালিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন। মনে করা হচ্ছিল, এবারের বিশ্বকাপটা নিজের নামে করতে চাইবেন ইউনিভার্স বস। টিম হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এবারে কেউ বিশ্বকাপের দাবিদার মনে না করলেও আশা ছিল গেইলকে নিয়ে।
সেই গেইল চরম হতাশ করলেন। আট ইনিংসে তার সংগ্রহ ২৪২ রান, গড় ৩০.২৫। সব চেয়ে আশ্চর্যের তার স্ট্রাইক রেট ৮৮.৩২। যা একেবারেই গেইল সুলভ নয়। এখন বোধহয় শুধুই তার অবসরের অপেক্ষা। শেষ হতে চলেছে এক ক্যারিবিয়ান যুগের।
হাসিম আমলা : এই আফ্রিকান ওপেনার এক সময় ছিলেন দলের সেরা এবং সবচেয়ে ভরসার ব্যাটসম্যান। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই ভরসা যোগাতে একেবারেই ব্যর্থ তিনি। বারবার ওপেনারদের খারাপ ফর্ম ভুগিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এ বারের বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে আমলার সংগ্রহ মাত্র ২০৩ রান, স্ট্রাইক রেট ৬৪.৮৬। আমলা ধিরে শুরু করলেও পরে রান তুলে নিতে পারেন। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে সেই কাজটাই করতে পারেননি তিনি।
ফখর জামান : ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ফাইনালে তার কাছেই হেরে গিয়েছিল ভারত। এবারের বিশ্বকাপেও তাকে নিয়ে অনেক আশা ছিল পাক বাহিনীর। কিন্তু সেই আশার রূপ দিতে ব্যর্থ তিনি। ওপেনে নেমে সে ভাবে দাগ কাটতে পারেননি। মাত্র ১৮৬ রান করেছেন আট ইনিংস খেলে। গড় ২৩.২৫। একটি মাত্র অর্ধশতরান। তা ছাড়া কোনও ইনিংসই সেই ভাবে উল্লেখযোগ্য নয়।
আন্দ্রে রাসেল : আরেক ক্যারিবিয়ান দৈত্য। যার অতিমানবিক ক্রিকেট দক্ষতা আইপিএলে দেখে অনেকেই মনে করেছিলেন, বিশ্বকাপেও দারুণ কিছু করবেন। কিন্তু চোট তাকে পুরো টুর্নামেন্ট খেলতেই দেয়নি। মাঝপথেই ফিরতে হয়েছে তাকে। তবে যত দিন ছিলেন আশাহত করেছেন বারবার। ব্যাট হাতে তিন ইনিংসে ৩৬ রান। আর বল হাতে চার ম্যাচে পাঁচটি উইকেট। চোট পেয়ে ফেরার আগে এই তার দলের হয়ে অবদান। টি-টুয়েন্টিতে আর একদিনের ক্রিকেটের মধ্যে যে বিশাল তফাত তার প্রমাণ বোধহয় এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিম।
কাগিসো রাবাদা : সাড়া জাগানো পেস বোলার। এবারের বিশ্বকাপে অনেকেরই আশা ছিল তাকে নিয়ে। কিন্তু নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকাও পারেনি নকআউট পর্বে যেতে। এ বারের বিশ্বকাপে নয় ম্যাচে নিয়েছেন মাত্র ১১ উইকেট। মোট ৭৮ ওভার বল করে ৩৯৭ রান দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সব থেকে বেশি রান দিয়েছেন তিনিই। দলের সেরা বোলার সব চেয়ে বেশি রান দিলে দলের যে করুণ অবস্থা হবে তা বলাই বাহুল্য। (আনন্দবাজার)
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড