ক্রীড়া ডেস্ক
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ দিয়ে শেষ হলো দ্বাদশ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনাল পর্ব। এ পর্ব শেষে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। গ্রুপ পর্ব এবং সেমি-ফাইনাল শেষে যেমন ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া, তেমনি বোলারদেরও। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ২০টি উইকেট নিয়েছেন কেবল দুজন; অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিচেল স্টার্ক ও বাংলাদেশি কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে ১০ বার বা তার ওপরে উইকেট নিয়েছেন ২৬ জন।
চলুন দেখে নেওয়া যাক সেমি-ফাইনাল শেষে এখন পর্যন্ত আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি কারা-
মিচেল স্টার্ক (অস্ট্রেলিয়া) :
২৯ বছর বয়সী মিচেল স্টার্ক গত ২০১৫ বিশ্বকাপের টুর্নামেন্টেও ছিলেন সেরা বোলার। এবারও এগিয়ে যাচ্ছেন সে পথেই। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা এ পেসার এরই মধ্যে ১৮.৫৯ গড়ে পেয়েছেন ২৭ উইকেট। দুইবার করে চার উইকেট ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন এই অজি পেসার। সেই সঙ্গে ছুঁয়েছেন কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রারর রেকর্ড। ২০০৭ সালে ২৬টি উইকেট নিয়েছিলেন অজি কিংবদন্তি। এক আসরে এটাই ছিল সর্বাধিক। এবার সে রেকর্ডকে পেছনে ফেললেন স্টার্ক।
মিচেল স্টার্কের সেরা বোলিং ফিগার ২৬ রানে ৫ উইকেট। ৯টি ম্যাচে ৯২.২ ওভারে করে রান দিয়েছেন কেবল ৫০২; এর মধ্যে মেইডেন ওভার করেছেন ৫টি।
মুস্তাফিজুর রহমান (বাংলাদেশ) : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ৬৭ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছিলেন মুস্তাফিজ। এরপর আর ওতটা বিধ্বংসীরূপে দেখা যায়নি তাকে। তবে টুর্নামেন্ট যত গড়িয়েছে ততোই বোলিংয়ে ধার বেড়েছে ফিজের। শেষ দুই ম্যাচে পেয়েছেন পাঁচ উইকেট করে। যা বিশ্বমঞ্চে ফিজের রেকর্ড; এর আগে কেবল একজনই পরপর দুই ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট শিকার করেছিলেন (১৯৭৫-এর বিশ্বকাপে- অস্ট্রেলিয়ার পেসার গ্যারি গিলমোর)।
বাংলাদেশ বিশ্বকাপে থেকে বিদায় নিলেও ফিজ আছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের তালিকায় দুইয়ে। গ্রুপ পর্ব পর্যন্ত খেলেই সবমিলিয়ে ২০টি উইকেট নিয়েছেন কাটার মাস্টার। তবে কিছুটা খরুচে ছিলেন তিনি। ওভার প্রতি রান দিয়েছেন ৬.৭০ করে। তবে বাংলাদেশ সেমিতে না যাওয়ায় তাই স্বভাবতই মন খারাপ দ্য ফিজ-এর।
জোফরা আর্চার (ইংল্যান্ড) :
২৪ বছর বয়সী এই ইংলিশ পেসার গ্রুপ পর্বে সেরা পাঁচে জায়গা করে নিতে পারেননি; তবে সেমি-ফাইনালে ঠিকই সেরা তিনে ওঠে এসেছেন জোফরা আর্চার। সেমিতে অজিদের বিপক্ষে দুই উইকেট শিকারে তার মোট উইকেট দাঁড়াল ১৯ টিতে। কেবল তার থেকে এক উইকেটে এগিয়ে দুইয়ে আছেন টাইগার পেসার ফিজ।
১০ ইনিংসে আর্চার ৯০.৫ ওভার বল করে রান দিয়েছেন ৪১৯। এর মধ্যে সেরা বোলিং ফিগার ২৭ রানে ৩ উইকেট। গড়ে ২২.০৫ রানের খরচায় একটি করে উইকেট শিকার করেছেন এই ইংরেজ। তার সামনে মুস্তাফিজকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ; ফাইনালে দুটি উইকেট নিতে পারলেই এই তালিকায় দুইয়ে উঠে যাবেন জোফরা আর্চার।
লকি ফার্গুসন (নিউজিল্যান্ড) :
২৫ বছর বয়সী এই ড্যাশিং ফাস্ট বোলার আসরের শুরু থেকেই দারুণ ধারাবাহিক বোলিং করে গেছেন। লকি ফার্গুসন নিউজিল্যান্ডের বোলিং নেতৃত্বই দিয়েছেন। প্রথম বিশ্বকাপেই ৮ ম্যাচ খেলে ১৯.৯৪ গড়ে পেয়েছেন ১৮ উইকেট। ওভার প্রতি রানও দিয়েছেন পাঁচের কম। নিঃসন্দেহে কিউইদের সাফল্যের অন্যতম নায়ক এ পেসার।
জসপ্রিত বুমরাহ (ভারত) :
বলার অপেক্ষা রাখে না- ভারতের ব্যাট হাতে যতটা উজ্জ্বল ছিলেন রোহিত শর্মা ঠিক ততটাই উজ্জ্বল ছিলেন জসপ্রিত বুমরাহও। ওয়ানডেতে বিশ্বের সেরা বোলাদের রাজত্বটা দীর্ঘদিন ধরেই দখলে রেখেছেন ২৫ বছর বয়সী এই পেসার। গ্রুপ পর্ব থাকে সেমি-ফাইনাল পর্যন্ত বুমরাহ বিশ্বকাপেও সে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছিলেন। ভারতীয় এই পেসার ফার্গুসনের সমান ১৮টি উইকেট পেয়েছেন। তবে গড়ে কিছুটা পিছিয়ে, ২০.৬১।
তবে সেমিতে ভারতের বিদায়ে বুমরাহ উইকেট পাওয়ার জায়গাটা নেই। এই তালিকায় কেবল আছেন ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চার ও কিউই তারকা পেসার লকি ফার্গুসন।
আগামী ১৪ জুলাই রবিবার ক্রিকেটের তীর্থভূমি লর্ডসে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড। এখন দেখার বিষয় এই দুজন পারেন কিনা নিজেদের ছাড়িয়ে যেতে।
ওডি/এএপি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড