ক্রীড়া ডেস্ক
চলছে আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসর। ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই মেগা ইভেন্টে অংশ নিয়েছে ১০ দল। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হয় এবারের আসর। যেখানে গ্রুপ পর্ব থেকে চার দল সরাসরি উঠে যাবে সেমিফাইনালে। শেষ চারের দৌড়ে সবার আগে টিকিট নিশ্চিত করেছে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। বাকি তিনটি টিকিটের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা।
বুধবার (২৬ জুন) মাঠে গড়িয়েছে টুর্নামেন্টের ৩৩তম ম্যাচ। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড। আজকের এই ম্যাচ ছাড়াও গ্রুপ পর্বে বাকি রয়েছে আর ১২টি ম্যাচ। কয়েকটি ম্যাচ ছাড়া বাংলাদেশের সমর্থকদের অবশ্য সবগুলো ম্যাচ নিয়ে আগ্রহ নেই। কয়েকটি ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে টাইগারদের সেমিফাইনালে যাওয়া, না যাওয়ার ভাগ্য। আসুন সেই ম্যাচগুলোর দিকে একটু চোখ বুলিয়ে নিই:
নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান : বুধবার (২৬ জুন) এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত হওয়া নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তানের ম্যাচটি নিয়ে পাক সমর্থকদের মতো বাংলাদেশও বেশ আগ্রহী। আজ পাকিস্তান হারলে দলটির বিদায় নিশ্চিত হবে আর নিউজিল্যান্ড উঠে যাবে সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ড হারলে শেষ চারের সম্ভাবনা উজ্জল হবে ১৯৯২ এর চ্যাম্পিয়নদের, ঝুলে যাবে কিউইদের ভাগ্য।
শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকা : এই ম্যাচটির দিকেও তাকিয়ে থাকবে টাইগাররা। বাংলাদেশের চেয়ে এক পয়েন্ট কম থাকা লঙ্কানরাও রয়েছে শেষ চারের দৌড়ে। মালিঙ্গা-ম্যাথুসরা এই ম্যাচে জিতলেই তারা ভালোভাবে টিকে থাকবে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে। আর হারলে পাকিস্তানের মতো তাদেরও বিদায় ঘণ্টা বেজে যাবে। আগামী ২৮ জুন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
পাকিস্তান-আফগানিস্তান : ২৯ জুনের ম্যাচটির উত্তেজনা নির্ভর করছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের আজকের (৩৩তম ম্যাচ) ম্যাচের ফলাফলের ওপর। সরফরাজরা যদি বুধবার কিউইদের হারিয়ে দেয় তাহলেই এই ম্যাচের মূল্য আছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জিতলে পাকিস্তানের পয়েন্ট হবে ৭। সে ক্ষেত্রে আফগানদের হারিয়ে সংগ্রহটা ৯ এ নিয়ে যেতে চেষ্টার কমতি রাখবে না তারা। তবে আগের ম্যাচে জিতে এই ম্যাচে পাকিস্তান হারলে বিদায় নিশ্চিত।
ভারত-ইংল্যান্ড : ভারত ইংল্যান্ডের এই ম্যাচের দিকে তাকিয়ে থাকবে প্রায় দুইশো কোটি মানুষ। এই ম্যাচে ভারত জিতলে সেমিফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে যাবে ১২০ কোটি মানুষের দেশটি। আর ইংল্যান্ড যদি ভারতকে হারিয়ে দেয় তাহলে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মাথায় হাত পড়বে। ৩০ জুন মাঠে গড়াবে টুর্নামেন্টের ৩৮তম ম্যাচটি।
বাংলাদেশ-ভারত : এই ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে হলে ভারতকে হারানোর বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে। তবে শক্তিশালী ভারত সহজে ছেড়ে দেবার দল তো নয়। তাই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। আগের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে যদি হারিয়ে থাকেন কোহলিরা তাহলে এই ম্যাচ জিতলে দলটির সেমিফাইনাল নিশ্চিত হবে আর আগের ম্যাচটা হারলে এই ম্যাচটা জিততেই হবে টিম ইন্ডিয়াকে। ২ জুলাই বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হবে টাইগারদের অষ্টম ম্যাচটি।
নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড : নিজেদের সপ্তম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড যদি পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় তাহলে সেমিফাইনালে ওঠার জন্য এই ম্যাচটা কিউইদের জিততেই হবে। আর ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ড যদি হেরে থাকে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প থাকবে না ইংলিশদের সামনেও। তাই অনেক সমীকরণের এই ম্যাচটা ঘিরে এখন থেকেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। আগামী ৩ জুলাই মাঠে গড়াবে হাই ভোল্টেজ ম্যাচটি।
বাংলাদেশ-পাকিস্তান : যদি সেমিফাইনাল খেলতে হয় তাহলে জয়ের বিকল্প নেই বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুদলের সামনেই। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ড যদি আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হেরে যায় আর ইংল্যান্ড যদি নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয়, অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড যদি পাকিস্তানকে হারিয়ে থাকে তাহলে টাইগার সমর্থকদের কাছে এই ম্যাচের তেমন কোনো মূল্য নেই। কারণ উল্লিখিত তিনটি ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে ততদিনে বাংলাদেশের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে আর যদি তেমনটি না ঘটে থাকে তাহলে এই ম্যাচটি দারুণ উপভোগ্য হবে। ৫ জুলাই ঐতিহাসিক লর্ডসে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি।
ওডি/এসএম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড