• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ক্রিকেট বিশ্বকাপ-২০১৯

তামিমের দেখানো পথেই হাঁটলেন লিটন

  ক্রীড়া ডেস্ক

২০ জুন ২০১৯, ২২:৪০
লিটন কুমার দাস (ছবি : সংগৃহীত)
লিটন কুমার দাস (ছবি : সংগৃহীত)

বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার দেওয়া ৩৮২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ স্কোর : ২২৬/৪ (৩৮ ওভার)

লিটনেবিদায়ের পর বিপদ আরও বাড়ল বাংলাদেশের :

বিশ্বকাপের অভিষেক ম্যাচে উইন্ডিজের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছিলেন লিটন কুমার দাস। ৬৯ বলে ৯৪ রানের ওই ইনিংসটি বাংলাদেশের জয়ের বড় অবদান ছিল। সেই ম্যাচের এমন বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে আজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এসেছিলেন খেলছে; কিন্তু দুর্ভাগ্য অজিদের সঙ্গে ফিরতে হয়েছে তাকে ২০ রানে!

ইনিংসের ৩০তম ওভারে অ্যাডাম জাম্পার দ্বিতীয় বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন লিটন। তার বিদায়ে আরও বড় বিপদে পড়ল বাংলাদেশ। জিততে হলে এখন মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহীম ও মিস্টার কুল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে। এবং ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়তে হবে তাদের।

তামিমের বিদায়ে বিপদে বাংলাদেশ :

এবারের বিশ্বকাপের আসরে কোনো ম্যাচেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ নিজেকে প্রমাণ দিচ্ছিলেন। শুরু থেকেই দেখে শুনে খেলে ফিফটির দেখা পান। কিন্তু ফিফটির পর উইকেটে বেশিক্ষণ থাকা হয়নি তামিমের। মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান।

যাওয়ার আগে ৭৪ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলছেন এই দেশসেরা ওপেনার। যা ছিল ৬টি চারের সমন্বয়ে! তার বিদায়ে বড় বিপদেই পড়ল বাংলাদেশ। তামিমের বিদায়ের পর উইকেট এসেছেন আগের ম্যাচ দুর্দান্ত খেলা লিটন কুমার দাস; তার সঙ্গে আছেন মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহীম।

চাপের মধ্যে তামিমের ফিফটি :

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আজ দুর্দান্ত ব্যাট করছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। ৬৫ বলে ৫ চারে তুলে নিয়েছেন ফিফটি। ওয়ানডেতে তার ৪৭তম, এবারের আসরে প্রথম।

দলীয় ১০২ রানে সাকিব আল হাসানের বিদায়ের পর মিডল অর্ডারের সবচেয়ে বড় ভরসা মুশফিকুর রহীমের সঙ্গে জুটি গড়ার চেষ্টায় আছেন তামিম। তামিম ৬৬ বলে ৫১ ও মুশফিকুর রহিম ১১ বলে ১১ রানে অপরাজিত আছেন।

তামিমের সঙ্গে ভালো জুটি গড়ে ফিরলেন সাকিব :

আজকের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার মূল টার্গেট ছিল সাকিব আল হাসান। আগের ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের নায়ককে ফেরাতে পারলেই বেঁচে যাবেন অজিরা। কিন্তু সাকিব তো সাকিবই! দলীয় ২৩ রানে রান আউট হয়ে সৌম্য সরকার ফিরলে উইকেটে এসে জানান দিচ্ছিলেন কেন তিনি নম্বর ওয়ান সাকিব। দেখে শুনে খেলে ফিফটির কাছেও পৌঁছে গেছেন।

তামিম ইকবালের সঙ্গে ৭৯ রানের ভালো জুটিও গড়েন! ভালোই এগোচ্ছিল বাংলাদেশের রান! কিন্তু মার্কাস স্টয়িনিস ইনিংসের ১৯তম ওভারের প্রথম বলে জেন অজিদের শিবিরে স্বস্তি এনে দিলেন!

বাংলাদেশের ৭৯ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটি ভাঙেন স্টয়িনিস। লেগ স্টাম্পের ওপর স্টয়িনিসের স্লোয়ার বল লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে লিডিং এজ হয়ে ক্যাচ উঠে যায় মিড অফে। বলটি সহজেই তালুবন্দি করেন ওয়ার্নার।

৪১ বলে ৪ চারে ৪১ রান করেন সাকিব। তার বিদায়ের সময় ১৮ ওভার ১ বলে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০২ রান। তামিমের সঙ্গে উইকেটে আছেন মুশফিকুর রহীম।

শুরুতেই রান আউট হয়ে ফিরলেন সৌম্য :

বোলিংয়ে সফল সৌম্য ফিরে গেছেন তামিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে। ক্রিজে ১০ রান নিয়ে ছিলেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তামিম ছিলেন স্ট্রাইকিং প্রান্তে আর সৌম্য ছিলেন ননস্ট্রাইকিংয়ে। ওভারের চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বল। মিড অনে বল পাঠিয়ে সিঙ্গেলের জন্য ডাক দেন তামিম। পরে ফিরিয়ে দেন সৌম্যকে।

কিন্তু সৌম্য ক্রিজে ফেরত যেতে পারলেন না। অ্যারন ফিঞ্চের সরাসরি থ্রোতে ফিরে যান সৌম্য। সৌম্যের বলে ৫৩ রান করে আউট হয়েছিলেন অজি অধিনায়ক। সৌম্যকে রানআউট করে তার শোধ নিলেন ফিঞ্চ।

৩৮২ রানের বিশাল টার্গেটে নেমে ২৩ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলো বাংলাদেশের। দুজনেই ঠান্ডা মাথায় ব্যাট করছিলেন। তবে ৮ বলে ১০ রান করে সৌম্যের আউটে শুরুতে বিপদে পড়লো টাইগার শিবির।

বাংলাদেশকে ৩৮২ রানের টার্গেট দিল অস্ট্রেলিয়া :

বাংলাদেশের জন্য আফসোস, সৌম্য সরকারের মতো নিখুঁত লাইন ল্যান্থে কেউ বোলিং করতে পারল না। অজিদের রান হতো চারশ ছাড়িয়ে যেতে পারত। সেটা সম্ভব হলো না সৌম্যের তিন উইকেটে। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে থাকা ফিঞ্চ, ওয়ার্নার, খাওয়াজা এ তিনজনকে আউট করেন এ মিডিয়াম পেসার। তবে বাকি বোলারদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৮১ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া।

৩৪ ওভার তিন বলে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ১ উইকেটে ২০০ রান। ৪৩ ওভার তিন বলে সেই অস্ট্রেলিয়া তোলে ১ উইকেটে ৩০০ রান। উইকেট হাতে থাকলে শেষ দশ ওভারের আগে থেকেই যে বোলারদের ওপর চড়াও হওয়া যায় তাই দেখিয়েছে ফিঞ্চ বাহিনী। ওর্য়ানার-ফিঞ্চের ১২১ রানের ওপেনিং জুটির পর ওয়ার্নার-খাওয়াজা দ্বিতীয় উইকেটে গড়েন ১৯২ রানের জুটি। এ বিশ্বকাপের এটাই সর্বোচ্চ রানের জুটি।

টানা সাত ম্যাচ টস হারের পর জিতলেন অ্যারন ফিঞ্চ। ট্রেন্টব্রিজের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক। তবে বাংলাদেশের ভাগ্যটা খারাপ ওয়ার্নারের ক্যাচ শুরুতে মিস করায়। ১২ রানে ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলে দেন সাব্বির। এরপরই অজিদের বড় জুটি। প্রথম ১০০ রান তোলে ধীরেসুস্থে। ৫৩ রান করে আউট হন অজি অধিনায়ক ফিঞ্চ। তবে ওয়ার্নার ঠান্ডা মাথায় খেলেন। ১১০ বলে ওয়ার্নার তুলে নেন ক্যরিয়ারের ১৬তম সেঞ্চুরি।

এতে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হন বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১৬৬ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে আউট তিনি। অপরপ্রান্তে, ওয়ানডাউনে নামা খাওয়াজা খেলেন ৭২ বলে ৮৯ রানের ঝলমলে ইনিংস। কোনো ছক্কা না মারলেও ১০টি বাউন্ডারি হাঁকান এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এপর গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ১০ বলে ৩২ রানের ঝড়ে সাড়ে ৩০০ রান স্কোরবোর্ডে তুলে নেয় অজিরা ৪৬ ওভার এক বলে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর :

অস্ট্রেলিয়া : ৫০ ওভারে ৩৮১/৫ (ওয়ার্নার ১৬৬, ফিঞ্চ ৫৩, খাওয়াজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩২, স্টোয়িনিস ১৭*, স্মিথ ১, ক্যারে ১১*; মাশরাফি ০/৫৬, মুস্তাফিজ ১/৬৯, সাকিব ০/৫০, রুবেল ০/৮৩, মেহেদী মিরাজ ০/৫৯ ও সৌম্য ৩/৫৮)।

ওডি/এএপি

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড