ক্রীড়া ডেস্ক
বাংলাদেশের ম্যাচ মানেই গ্যালারিতে লাল সবুজের সমারোহ। মিরপুর কিংবা টন্টন খেলা যেখানেই হোক না কেন, মাঠে বাংলাদেশ থাকলে গ্যালারিতে লাল সবুজ রংটাই বেশি দেখা যায়। ক্রিকেটপাগল জাতি হিসেবে অনেক আগেই পরিচিতি পেয়েছে এদেশের মানুষ। ইংল্যান্ডেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তামিম-সাকিবদের সমর্থন দিতে গ্যালারিতে লাল সবুজের জার্সি আর পতাকা নিয়ে হাজির হচ্ছে হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। কার্ডিফ কিংবা টন্টন পরিণত হচ্ছে এক টুকরো বাংলাদেশে, যেন খেলা হচ্ছে মিরপুরে।
ক্রিকেটের জন্মদাতা ইংল্যান্ড হলেও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে এশিয়ার ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোতে ক্রিকেটের অবস্থান ধর্মের পরেই। আর বাংলাদেশে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা একটা লাইনেই বোঝা যায়। এ দেশের মানুষ নাকি ক্রিকেটে খায়, ক্রিকেটেই ঘুমায়। এ দেশের দিনমজুর থেকে শুরু করে শিল্পপতি, সুযোগ পেলেই সবাই গল্প জুড়ে দেয় ক্রিকেটে নিয়ে। গ্যালারিতে বসে নিজের দলকে সমর্থন দেয়া বাংলাদেশিদের উন্মাদনা প্রভাব ফেলে মাঠেও। সে প্রভাবকে ব্যাখ্যা করতে পাকিস্তানি ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা তো এ দেশের ক্রিকেটভক্তদের দ্বাদশ খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন।
ঝড়, বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। তাদের গর্জনে সুদূর ইংল্যান্ডও পরিণত হচ্ছে মিরপুরে। এই তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে স্টেডিয়ামের ২৪০০০ হাজার আসনের ১৬০০০ আসনই দখল করে রেখেছিল টাইগার সমর্থকরা। এরপর প্রতি ম্যাচেই বিপক্ষ দলের চেয়ে অধিক সংখ্যক দর্শক মাঠে গিয়ে মাশরাফিদের সমর্থন দিয়েছে। মাঠে এগারো জন ক্রিকেটারের গর্জনে কুপোকাত হচ্ছে প্রতিপক্ষ আর গ্যালারিতে হাজার হাজার বাঘের গর্জনে প্রকম্পিত হচ্ছে ইংল্যান্ড।
ওডি/এমএমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড