ক্রীড়া ডেস্ক
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে উইন্ডিজের দেওয়া ৩২২ রানের টার্গেট ব্যাট করছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ স্কোর : ২৪৯/৩ (৩৪.২ ওভার)
টানা চার ম্যাচে ফিফটি করলেন সাকিব :
এবারের আসরে টানা চার ম্যাচে ফিফটির দেখে পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৫ রান, দ্বিতীয় ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৪ রান, তৃতীয় ম্যাচে ইংলিশদের সঙ্গে করেছেন ৬৪ রান। আর সবশেষ উইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে দেখা পেলেন ফিফটির। যদিও এখনো দায়িত্ব নিয়ে ব্যাট চালিয়ে যাচ্ছেন সাকিব। ৫৬ বলে ৬০ রানে ক্রিজে আছেন সাকিব।
আন্দ্রে রাসেলের করা ইনিংসের ২১তম ওভারের প্রথম বলে এক রান নিয়ে ফিফটি করেন সাকিব। দলীয় ১৩৩ রানে তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকা বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
বার বার জীবন পাওয়া সাকিব একই ম্যাচে নতুন একটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন। দ্বিতীয় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডেতে ছয় হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন এই অলরাউন্ডার। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন বন্ধু তামিম ইকবাল।
তামিমের পর মুশিও ফিরলেন :
রান পেলেও উইকেট হারাচ্ছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের বিদায়ের পর তামিম ইকবাল আর সাকিব আল হাসান দেখে শুনে দলকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু দলীয় ১২১ রানে তামিম ফিরলে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
বিপদ কাঁটিতে ওঠার আগেই আরও বড় বিপদে বাংলাদেশ। মিস্টার ডিপেন্ডেবলকে হারায় টাইগাররা। রানের খাতায় মাত্র এক রান যোগ না করতেই ওশানে থমাসের বলে শাই হোপের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরেন মুশফিক। মুশিকে হারিয়ে এখন বড় বিপদে বাংলাদেশ।
রান আউট হয়ে ফিরলেন তামিম :
৩২২ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে সাবধানী শুরু পর ফিরেছিলেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৫২ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলে ওয়ানডাউনে আশা সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। দেখে শুনে খেলতে খেলতে ফিফটির কাছেও পৌঁছেছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্য ফিফটি থেকে মাত্র দুই রান দূরে থাকতে রান আউট হয়ে ফিরে জান তামিম।
ইনিংসের ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে দুর্ভাগ্য বশত রান আউট হন তামিম। শেলডন কটরেল নিজের বলে নিজেই দুর্দান্ত রান আউটটি করেন। ৫৩ বলে ৪৮ রানের মূল্যবান ইনিংস খেলে ফিরেছেন তামিম।
গেইলেই কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন সৌম্য
টস হেরে ব্যাট করে বাংলাদেশকে ৩৩২ রানের টার্গেট দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাবধানী শুরু! দেখে শুনে খেলছিলেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। দলীয় রান পঞ্চাশও পার করে ফেলছিলেন তারা।
কিন্তু ধৈর্য্য বেশিক্ষণ থাকেনি সৌম্যর। ইনিংসের নবম ওভারে আন্দ্রে রাসের দ্বিতীয় বলে স্লিপে থাকা ক্রিজ গেইলের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন সৌম্য। যাওয়ার আগে ২৩ বলে ২৯ রান করে যান তিনি।
এই আসরে এখন পর্যন্ত সৌম্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেন। তার ৪২ রানের মারমুখি ইনিংসটি বাংলাদেশের ওই জয়ে অবদান ছিল অনেক। পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ২৫ রান। তৃতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ রান করেন।
বাংলাদেশকে ৩২২ রানের টার্গেট দিয়েছে উইন্ডিজরা
টন্টনে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা ছিল ক্রিস গেইল ও আন্দ্রে রাসেলকে ঘিরে। দুজনের কেউই টাইগারদের হতাশ করনেনি। দুই হার্ডহিটার শূন্যতে ফিরে যান। তারপরও বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮ উইকেটে ৩২১ রান চাপিয়ে দিল ক্যারিবীয়রা। ওয়ান ডাউনে নামা শাই হোপ যথারীতি বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজের চিরচেনা ছন্দ মেলে ধরলেন। দলের হাল ধরে হোপ খেলেন ৯৬ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের পক্ষে মুস্তাফিজ ও সাইফউদ্দিন দুজনেই শিকার করেন ৩ উইকেট।
এ ম্যাচেও টস জিতলেন মাশরাফি, এবং ফিল্ডিং নিলেন। উইকেট থেকে পেসাররা শুরুতে সুবিধা আদায় করেন। গেইলের মতো বড় তারকা ১৩ বলে শূন্যতে ফিরে যান সাইফউদ্দিনের বলে। অপরপ্রান্তে থাকা এভিন লুইস শুরুতে ধীরগতিতে ব্যাট করলেও ক্রমে হাত খুলে ব্যাট চালান।
দ্বিতীয় উইকেটে লুইস ১১৬ রানের দারুণ জুটি গড়েন হোপের সঙ্গে। ৬৭ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কাতে ৭০ রান করেন তিনি। তবে লুইসকে থামিয়ে দেন সাকিব। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে লং অফে বদলি ফিল্ডার সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন লুইস। পরে নিকোলাস পুরানকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান বাঁহাতি স্পিনার। ৩০ বলে ২৫ করেন পুরান। মাঝে হাফসেঞ্চুরি তুলে উইন্ডিজদের একপ্রান্ত আগলে রাখেন হোপ।
চতুর্থ উইকেটে হেটমায়ারকে নিয়ে গড়েন আরেকটি মূল্যবান জুটি। ৪৩ বলে ৮৩ রান তোলেন এ দুজন। হোপ তার স্বভাবজাত ব্যাট করলেও চড়াও হয়ে খেলতে থাকেন হেটমায়ার। তবে ১২ রানে হেটমায়ার জীবন না পেলে আরও বিপদে পড়তে পারত ক্যারিবীয়রা। ৩৪ ওভার ৫ বলে মুস্তাফিজের বলে সাইফউদ্দিন রানআউটের সুযোগ নষ্ট করেন।
এতে হেটমায়ারও নতুন করে মারমুখি হন। ২৫ বলে তুলে নেন নিজের তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি। জেসন রয়ের মতো এটাও এ বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। বাংলাদেশের সামনে তখন ব্রেক থ্রু পাওয়ার লক্ষ্য। শেষ পর্যন্ত মুস্তাফিজের কল্যাণে কাঙ্ক্ষিত সফলতা পায় বাংলাদেশ। ২৬ বলে ৫০ করেই ফিরে যান হেটমায়ার। একই ওভারে রাসেলকে হতাশ করেন সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস।
একপ্রান্তে হোপ ক্যারিবীয়দের রানের চাকা সচল রাখেন। জেসন হোল্ডারও মারমুখি ব্যাট করে ১৫ বলে ৩৩ রান করেন। সাইফউদ্দিনের বলে আউট হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক। এতে রানের চাকা কমে যায় তাদের। মারমুখি হতে গিয়ে নার্ভাস নাইনটিজের শিকার হন হোপ। ৯৬ রানে তাকেও ফেরান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ।
ওডি/এএপি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড